নিজস্ব প্রতিবেদক :{www.channel7bd.com} বিআরটিএ টাঙ্গাইল জেলা সার্কেল এর মরযান পরিদর্শক এনামুল হক ইমন ঘুষ গ্রহন করে ফিটনেস বিহীন ও পরিত্যাক্ত গাড়ীগুলো ফিটনেস দিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিআরটিএ টাঙ্গাইল জেলায় মটরযান পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন মোঃ এনামুল হক ইমন। তিনি ঘুষ গ্রহন করে পরিত্যাক্ত ও ফিটনেস বিহীন গাড়ীগুলো ফিটনেস দিয়ে বড় অংকের ঘুষের টাকা গ্রহন করে। এবিষয়ে উপদেষ্টা সড়ক জনপদ ও মহাসড়ক বিভাগ সড়ক জনপদ ও সেতু মন্ত্রণালযয়ে উপদেষ্টা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ফিটনেস বিহীন গাড়ী গুলোর নমুনা ও নাম্বার নিচে তুলে ধরা হলো, ঢাকা-মেট্রো-ট-১৫-৫৫২৭, ঢাকা-মেট্রো-ন-১২-৪৫৫৯, ঢাকা-মেট্রো-ট-১১-০১৬৪, ঢাকা-মেট্রো-ট-১১-০০৫৭, ঢাকা-মেট্রো-ন-১৮-৩৪৭৬, ঢাকা-মেট্রো-ব-১৫-৬৮৮৪, ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪-৯১২০, ঢাকা- মেট্রো-ন-১১-০২৮৬, ঢাকা-মেট্রো-গ-১১-৬৪৮৬, ঢাকা-মেট্রো-ব-১২-১২৩১, ঢাকা-মেট্রো-ন-১১-৭৫৫৮, মায়মনসিংহ- ট-১১-০১৬৪, ঢাকা-মেট্রো-ট-১১-০৩৯৪, ঢাকা-মেট্রো-ট-১৬-৪৫১৭, ঢাকা-মেট্রো-ট-২২-৫৩৫০, ঢাকা-মেট্রো-ট-২২- ৫৬৫৮, ঢাকা-মেট্রো-ট-২২-৭৩৩৮, ঢাকা-মেট্রো-চ-৫৬-১০৩৩, ঢাকা-মেট্রো-চ-২০-২৮২৯, ঢাকা-মেট্রো-খ-১৩- ১২৩১, ঢাকা-মেট্রো-ন-১১-০১২৪, ঢাকা-মেট্রো-ন-১৮-৮৩৮২, ঢাকা-মেট্রো-ন-১৩-৫২৬৪, ঢাকা-মেট্রো-ন-১৫- ১৪৬৯, ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪-৯২৪১, ঢাকা-মেট্রো-চ-১৫-৫৭৮১, ঢাকা-মেট্রো-চ-২০-৪২৮৯, ঢাকা-মেট্রো-চ-১২- ৭৪৩৫, ঢাকা-মেট্রো-চ-১১-৪৪৩৪, ঢাকা-মেট্রো-চ-১২-৩৬৫১ উল্লেখিত গাড়ীগুলো ঘুষের টাকা গ্রহন করে ফিটনেস প্রদান করা হয়েছে। উপরোক্ত গাড়ীগুলো অধিকাংশ ফিটনেস বিহীন এবং পরিত্যাক্ত হওয়ায় এনামুল হক ইমন ঘুষের টাকা গ্রহন করে ফিটনেস প্রদান করেছেন।
এ বিষয়ে কোন সাংবাদিক অনুসন্ধান করতে গেলে তিনি তার নিকট আত্মীয় প্রথম শারির পত্রিকায় চাকুরী করেন বলেন তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে সাংবাদিকদের অনুসন্ধান করতে বাধা প্রদান করে। এছাড়াও সাংবাদিকরা যদি তার বিষয়ে অনুসন্ধান করতে চায় তাহলে তিনি বিআরটিএ’র দালালদের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দিয়ে তার অনুসন্ধান বন্ধ করার চেষ্টা করেন।
সূত্রে জানা গেছে এনামুল হক ইমন মূলত দালাল নির্ভর একজন কর্মকর্তা। তিনি বর্তমানে কয়েক কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ প্রত্যেকে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তার ঢাকা শহরে একাধিক ফ্ল্যাট ও বাড়ি ও গাড়ী রয়েছে। নিজ জেলা শহরে তার আলিশান বাড়ীও রয়েছে।
তার বিষয়ে সঠিকভাবে তদন্ত করলে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। এনিয়ে প্রতিবেদকের অনুসন্ধানও চলমান রয়েছে। আরও তথ্য নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন তুলে ধরা হবে। জানতে চোখ রাখুন আগামি পর্বে….