নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার সন্তান এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনও স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এই সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে তাদের হিসাব জব্দ করতে বলেছে। বিএফআইইউর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হিসাব জব্দের ফলে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাকবে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো লেনদেন করা যাবে না। প্রয়োজনে এ সময় আরও বাড়ানো হতে পারে। বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে, এই নির্দেশ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯-এর ২৬ (২) ধারা অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে। চিঠিতে আমির হোসেন আমু ও তার সন্তানের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোনো হিসাব স্থগিত করা হলে সেই হিসাব-সংশ্লিষ্ট তথ্য, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি এবং লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি পাওয়ার পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৫ আগস্ট, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন, যা টানা ১৬ বছরের আওয়ামী শাসনের অবসান ঘটায়। একই রাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঝালকাঠির রোনালসে রোডে আমির হোসেন আমুর বাসভবন থেকে বিদেশি মুদ্রাসহ প্রায় ৫ কোটি টাকা উদ্ধার করে।