আশরাফুল ইসলাম সুজন : মাদকাসক্তির সর্বনাশা প্রভাব থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য বিশ্বজুড়ে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছে।
বাংলাদেশ ও মাদকবিরোধী একাধিক সংগঠন কাজ করছে। বর্তমানে সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে বহু মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদক সেবন কারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে এবং অভিযান চলমান রয়েছে। মাদকের হাত থেকে দেশের যুবসমাজকে বাঁচাতে একটি কার্যকর পদক্ষেপ হলো প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। মাদকাসক্তির কারণে সমাজের কোনো এক জায়গায় অশান্তি সৃষ্টি হলে,সেই অশান্তি গোটা সমাজকে গ্রাস করতে পারে।
বর্তমান বাংলাদেশ তরুণ প্রজন্মের যুবক যুবতীরা মাদকের মরণফাঁদে আটকিয়ে আছে তাই এই তরুণ ও যুব সমাজকে বাঁচাতে মাদক প্রতিরোধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সমাজের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশেও মাদকবিরোধী একাধিক সংগঠন কাজ করছে কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না। বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপ থাকলেই মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।
আমাদের দেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মাদক ব্যানসায়ী ও মাদক সেবন কারীকে আটক করতে সক্ষম হয়।কিন্তু আমাদের দেশের আইনের ফাঁকা জালে তারা খুব সহজেই জামিনে মুক্ত হয়ে যায়। তাই মাদকের আইনের ধারাগুলো সঠিক ভাবে ব্যাবহার করা খুব জরুরি।
যে তরুণ সমাজ দেশের ভবিষ্যত, তারা যদি সুস্থতার মধ্যে দিয়ে বড়ো হয়, তাহলেই তারা সুস্থ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবে অন্যথায় নয়। তাই মাদকের করালগ্রাস থেকে দেশ ও সমাজকে বাঁচাতে হবে।