ডেস্ক রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। তবে তার আগে থেকেই প্রশাসন সাজাতে শুরু করেছেন তিনি।
গত কয়েকদিন ধরে ট্রাম্প তার প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যারা থাকবেন তাদের নাম ঘোষণা করছেন। ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে পিট হেগসেথ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ক্রিস্টি নোয়েমের নাম জানিয়েছেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মার্কো রুবিও নিয়োগ পেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
আজ বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্পের মন্ত্রীসভায় মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কও থাকছেন। ট্রাম্প নিজেই তার নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিবিসি লিখেছে, গত ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর থেকেই জোর গুঞ্জন ওঠে, সরকারি কোনো দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন ইলন মাস্ক। টেসলা ও স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক এবছর ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাপকভাবে সক্রিয় ছিলেন। অনুদান দিয়েছেন প্রায় ২০ কোটি ডলার।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিজয়ী হওয়ার পর ট্রাম্প তার ভাষণে মাস্কের ভূঁয়সী প্রশংসা করেন। সেসময়ই আভাস পাওয়া যায়, ট্রাম্পের প্রশাসনে ইলন মাস্ককে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদে দেখা যেতে পারে।
গতকাল মঙ্গলবার ট্রাম্প জানান, তিনি ইলন মাস্ক ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা বিবেক রামাস্বামীকে নতুন গঠিত দপ্তরের দায়িত্ব দিতে যাচ্ছেন। দপ্তরটির নাম হবে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’।
ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মাস্ক ও বিবেক আমার প্রশাসনের জন্য সরকারি আমলাতন্ত্র ভেঙে ফেলার পথ তৈরি করবেন, অতিরিক্ত নিয়মনীতি কমাবেন, অবচয়জনিত ব্যয় হ্রাস করবেন এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে পুনর্গঠন করবেন।’
তিনি জানান, নতুন এই মন্ত্রণালয়টি মার্কিন সরকারের বাইরের দিক থেকে পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান করবে। যার মানে, সরকারি সংস্থার সীমাবদ্ধতার বাইরে থেকে কাজ করবে।
মাস্ক ও বিবেককে নিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘মার্কিন নাগরিকদের জীবনকে উন্নততর করে তুলতে তারা যুক্তরাষ্ট্রীয় আমলাতন্ত্রে আর কী কী পরিবর্তন আনেন, তা দেখার জন্যে মুখিয়ে আছি আমি।’
বিবিসি খবর বলা হয়, ইলন মাস্কের মতো বিবেক রামাস্বামীও যে ট্রাম্পের প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসতে যাচ্ছেন, সে আভাস মিলেছিল। বিবেক রামাস্বামী ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। তিনি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে পরে প্রার্থিতা ছেড়ে দিয়ে ট্রাম্পকে সমর্থন দেন।