আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা শহরের দুটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। রোববার (৪ আগস্ট) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা শহরের বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হাসান সালামা এবং আল-নাসর স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হয়। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘নিহতদের প্রায় ৮০ শতাংশই শিশু।’
মাহমুদ বাসাল এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গাজা শহরে আর কোনো নিরাপদ স্থান নেই এবং ইসরায়েলি বাহিনী পবিত্র স্থানগুলোকে সম্মান করে না।’
এর আগে, শনিবার (৩ আগস্ট) গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান এলাকায় একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানায়, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ১৫২টি স্কুলসহ মোট ১৭২টি আশ্রয়স্থলে ইসরায়েলি হামলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘স্কুলে হামলায় এক হাজার ৪০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন। এই গণহত্যাগুলো টানা ১০ মাস ধরে আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান অপরাধের অংশ।’
গাজার মিডিয়া অফিস ইসরায়েলি দখলদারিত্ব এবং মার্কিন প্রশাসনকে ‘বাস্তুচ্যুত ও বেসামরিকদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত গণহত্যার জন্য দায়ী’ করেছে। তারা গাজা উপত্যকায় রক্তপাত বন্ধ করতে তেল আবিব এবং ওয়াশিংটনের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছে।
গত অক্টোবরে হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের ক্রমাগত নৃশংস আক্রমণের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিন্দা চলছে, যা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির দাবিকে লঙ্ঘন করেছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় ৩৯ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু, এবং প্রায় ৯১ হাজার ৪০০ জন আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।