ডেস্ক রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রশাসনে ৬৩ বছর বয়সী মার্কিন ধনকুবের হওয়ার্ড লাটনিককে বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে লাটনিকের নিয়োগের ঘোষণা দেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। লাটনিক মার্কিন বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ক্যানটর ফিতজগেরাল্ডের প্রধান এবং তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।
লাটনিক রিপাবলিকান পার্টির ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতি–সংক্রান্ত দলের কো–চেয়ার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ট্রাম্প এক বিবৃতিতে লাটনিকের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তার (লাটনিক) ওয়াল স্ট্রিটে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করার দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে।
বিবৃতিতে ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি (লাটনিক) যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও বাণিজ্যের বিষয়গুলোয় নেতৃত্ব দেবেন। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের অতিরিক্ত প্রত্যক্ষ দায়িত্বও সামলাবেন।
এটা এমন একটি প্রশাসনিক পদ, যেখানে বসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও বৃহত্তর ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রীকে মার্কিন ব্যবসায় সহায়তা করার দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং প্রায়শই বাণিজ্য চুক্তি ও বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য অন্যান্য দেশের মধ্যে দূত হিসাবে কাজ করে। সেন্সাস ব্যুরো, ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, পেটেন্ট এবং ট্রেডমার্ক অফিসসহ বাণিজ্য বিভাগের অধীনে ১৩টি ব্যুরো রয়েছে।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে, তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস চীনের সঙ্গে উত্তপ্ত বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িয়েছিলেন। চীনা পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছিলেন তিনি।
নতুন প্রশাসনে বাণিজমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার্ড লাটনিকের মতাদর্শ উচ্চ শুল্ক আরোপের পক্ষে।
গত মাসে ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার সমাবেশে লাটনিক বলেছিলেন, “১৯০০-এর দশকের গোড়ার দিকে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে সমৃদ্ধ ছিল, তখন কোনো আয়কর ছিল না এবং আমাদের যা ছিল তা ছিল শুল্ক। তখন আমাদের কাছে এত টাকা ছিল যে, আমেরিকার সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যবসায়ীরা কীভাবে এটি ব্যয় করা যায় তা নির্ধারণ করার চেষ্টা করার জন্য একত্রিত হয়েছিলেন।”
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল, সব আমদানি পণ্যে ১০ থেকে ২০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হবে। বিশেষ করে চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর আরোপ করা হবে ৬০ শতাংশ শুল্ক। ওয়াশিংটন চীনকে নিজেদের সবচেয়ে বড় ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে।