অনলাইন ডেক্স: যদি আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র ফুটবল হয়ে থাকে, তাহলে তার দুই প্রধান প্রতিভা হলেন লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ফুটবল ইতিহাসের এই দুই আইকন গোটা একটি প্রজন্মকে মাতিয়ে রেখেছেন। তাদের যুগের শেষ নিয়ে যতই আলোচনা হোক, মাঠ ও রেকর্ড বইয়ের পাতা বারবার প্রমাণ দিচ্ছে—এখনও তাদের আধিপত্য অটুট।
নতুন রেকর্ড গড়লেন দুই তারকা
ইউরোপের শীর্ষ লিগ ছেড়ে মেসি যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামিতে এবং রোনালদো সৌদি আরবের আল-নাসরে পাড়ি জমিয়েছেন। তবুও তাদের জনপ্রিয়তা বা পারফরম্যান্সে কোনো ভাটা পড়েনি। দুই ভিন্ন লিগ থেকে বিশ্ব ফুটবলের সেরাদের কাতারে জায়গা করে নিচ্ছেন তারা।
সম্প্রতি ২০২৪ সালের ফিফপ্রো বিশ্ব একাদশের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পেয়েছেন মেসি ও রোনালদো। ইউরোপের বাইরের লিগ থেকে এই স্বীকৃতি তাদের জন্য একটি নতুন মাইলফলক।
ফিফপ্রোর বিশেষত্ব ও মেসি-রোনালদোর অবদান
ফিফপ্রো বিশ্ব একাদশ নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি বেশ অভিনব। এই তালিকা ফুটবলারদের ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়, যা এটিকে বিশেষ গুরুত্ব এনে দেয়। ২০২৪ সালের তালিকায় ২৬ জন সেরা ফুটবলারের নাম এসেছে, যাদের মধ্যে ১১ জনই ইংলিশ লিগ থেকে। তবে চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিভারপুল তারকা মোহাম্মদ সালাহ এই তালিকায় জায়গা পাননি।
২০০৭ সালে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ায় মেসি ও রোনালদো বারবার জায়গা করে নিয়েছেন। তবে এবার মেসি একটি বিশেষ মাইলফলক ছুঁয়েছেন। তিনি ১৭ বার ফিফপ্রো একাদশে জায়গা পেয়েছেন, যা রোনালদোর থেকে দুইবার বেশি। ২০২২ ও ২০২৩ সালে রোনালদো জায়গা পাননি, যা তাদের মধ্যে ব্যবধান তৈরি করেছে।
দুই গ্রেটের পথচলা অব্যাহত
মেসি ও রোনালদো শুধু নাম নয়; তারা ফুটবলের ইতিহাসে এক মহাকাব্য। তাদের প্রতিযোগিতা এখনো ফুটবলপ্রেমীদের রোমাঞ্চিত করে। রেকর্ডের এই যাত্রায় তারা যেন নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী এবং অনুপ্রেরণা। ফুটবলের সবুজ গালিচা এখনও তাদের নামের জন্য জ্বলজ্বল করছে।
মেসি-রোনালদো যুগ কি শেষ? একেবারেই না।