ওবায়দুল কাদেরের আমলে ছাত্রলীগের সাবেক ক্যাডারের চাকুরি, বিআরটিএ’র লাইসেন্স শাখার আশিকুর রহমান আশিক এখনও স্ব-পদে বহাল !

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) মেট্রো-৩ এর উত্তরা ডিয়াবাড়ির লাইসেন্স শাখার উচ্চমান সহকারী মোহাম্মদ আশিকুর রহমান আশিক ও তার সহকারী দালাল মো. খালিদ ওরফে শাওনের মাধ্যমে সকল দালালদের নিয়ন্ত্রণ করে অবৈধভাবে ঘুষ দুর্নীতি ও বিভিন্ন তদবির করে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গ্রাহকদের হয়রানির সহ বিভিন্ন ধরনের অবকর্মের ও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ও নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার পূর্ব অমর নগর বাসিন্দা, বাবার নাম আব্দুল আওয়াল। ক্ষমতা দেখিয়ে চাকরি শুরু থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত ক্ষমতা অপব্যবহার করে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছেন দালাল শাওনের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ মেট্রো সার্কেল-৩ সহ অফিসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অবৈধভাবে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি, ঘুষ-বানিজ্য মাধ্যমে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন লাইসেন্স থাকার উচ্চমান সহকারী আশিক নিরবে। ডিয়াবাড়ী উত্তরা, বিআরটিএ লাইসেন্স শাখার এর দালাল শাওনের মাধ্যমে নিয়োমিত অন্যান্য দালালদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে অবৈধভাবে টাকার বিনিময়ে বিআরটিএ এব পরীক্ষা ছাড়াই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গাড়ীর লাইসেন্স পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিয়ে অবৈধভাবে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।

উচ্চমান সহকারী আশিক সাবেক ছাত্রলীগের ক্যাডার ও বিআরটিএ র কর্মচারী সমিতির সভাপতি হিসেবে এককভাবে দুর্নীতি ঘুষ বাণিজ্যএবং দালালদের মাধ্যমে গ্রাহক হয়রানি ও অবৈধভাবে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন আবিদুর রহমান খান।

লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে জানা গেছে, বিআরটিএ মেট্রো সার্কেল- ৩, ডিয়াবাড়ী উত্তরা কর্মরত আছেন আশিকুর রহমান আশিক। তিনি বর্তমানে বিআরটিএ লাইসেন্স শাখায় মোটরযান পরিদর্শক মো. নাজমুল হাসান ও সাবিকুন্নাহারের সহযোগিতায় আশিক এককভাবে প্রতিনিয়ত দালালের মাধ্যমে পরীক্ষা ছাড়াই ঘুষের টাকা বিনিময়ে লাইসেন্স পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিয়ে থাকেন। মেট্রো- ৩ বিআরটিএর কয়েক ডজন দালালের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে মোটা অংকের ঘুষের টাকার নিয়ে থাকেন বলে সংশ্লিষ্ট অফিসের সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একাধিক অভিযোগ রয়েছে । আশিকের দুর্নীতি ও অপকর্মীর টাকার ভাগ মোটরযান পরিদর্শক নাজমুল হাসান ও সাবিকুন্নাহারও নিয়মিত ভাগ পান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাজমুল ও আশিক মহাখালী জেলার বেগমগঞ্জের একই থানা এলাকা হওয়ার কারণে আশিককে সর্বোত্ত সহযোগিতা করেন নাজমুল।

অভিযোগে আরো জানা গেছে বিনিময়ে প্রতিটি লাইসেন্স পরীক্ষায় পাশ করিয়ে থাকেন। প্রতিটি গাড়ীর লাইসেন্স পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিতে সর্বনিম্ন ৩ হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়ে থাকেন। তার কয়েকজন সহকারীরা এইসব বিষয়ে তাকে সহযোগিতা করে থাকেন। তার নিয়োজিত দালালরা হলেন, দালাল মতি, দুলাল, সোহাগের মাধ্যমে নিয়মিত গ্রাহকের নিকট থেকে টাকা আদায় করে থাকেন। এই বিষয়ে একাধিক প্রমান রয়েছে প্রতিবেদকের কাছে।

লিখিত অভিযোগে আরো জানা যায়, তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ বিআরটিএ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদন ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরে পরিচয় দিয়ে তিনি নিজে এবং তার অফিসের তার দালাল সাওনির মাধ্যমে নিয়মিত গ্রাহকদের নিকট ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিনিয়ত লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ঘুষ দুর্নীতি ও বিভিন্ন অপকর্মের কারণে বিআরটিএ থেকে অনেকেই বদলি হয়ে গেলও আশিক বদলি হচ্ছে না কেন ? কিন্তু আওয়ামী লীগের দোসর ও বিআরটিএ এর মেট্রো-৩, ডিয়াবাড়ী, উত্তরা এর প্রভাবশালী মটরযান পরিদর্শক এখনও তার স্বপদে বহাল রয়েছেন। তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো বিআরটিএ তে কোনো কর্তৃপক্ষ নেই বলে তিনি সবার কাছে বলে বেড়ান। তার অবৈধ ক্ষমতার প্রভাবে বিআরটিএ মেট্রো সার্কেল-৩, দিয়াবাড়ী উত্তয়া লাইসেন্স শাখা বর্তমানে ধ্বংঘের দারপ্রান্তে। তার বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বিআরটিএ এর গ্রাহকগণ খুবই উপকৃত হবে। তার ঢাকায় বাড়ী এবং কয়েকটি ফ্ল্যাট রয়েছে। বিআরটিএ তে চাকুরী করার সুবাদে তিনি এই সুবিধা গ্রহণ করছেন।

ভুক্তভোগী কামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমি একটি লাইসেন্স করার জন্য কাগজপত্র জমা দিলে আমাকে দিনের পর দিন ও মাসের পর মাস ঘুরাইতো। যখনই দালাল শাওনের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে তাড়াতাড়ি লাইসেন্সটা পেয়ে যাই। তিনি আরো বলেন বি আর টি এতে টাকা ছাড়া কোন কাজ হয় না। দালাল সিন্ডিকেট দের বিআরটিএ থেকে বিতাড়িত না করলে গ্রাহকরা কোন কাজ সঠিকভাবে করতে পারবেন না। তার বিষয়ে তদন্ত করলে আরও অসংখ্য তথ্য পাওয়া যাবে।

উপরোক্ত বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রলয়ের উপদেষ্টা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *