কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া সদর উপজেলার শান্তিডাঙ্গা এলাকায় চলন্ত পিকআপভ্যানে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে পাঁচটি গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতদের আঘাতে বাবা-ছেলেসহ তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার ধামইরহাট থানার চানকুড়ি এলাকার গরু ব্যবসায়ী আবদুর রহিম (৫৫), তাঁর ছেলে রেজওয়ান (২৩), এবং পিকআপ চালক মুকুল হোসেন (৪০)।
হাইওয়ে পুলিশ বলছে, এ বিষয়ে তাঁদের কিছু জানা নেই। জানতে চাইলে চৌড়হাস হাইওয়ে থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস রোববার দুপুরে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা আমাদের জানা নেই। খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি।’ তিনি দাবি করেন, শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে মহাসড়কে তাঁদের টহল দল সক্রিয় ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবদুর রহিম ও রেজওয়ান জয়পুরহাট থেকে কিছু গরু বিক্রি করে যশোরে মালিকের বাড়িতে সেগুলো পৌঁছে দিতে রওনা হন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে শান্তিডাঙ্গা এলাকায় পিকআপ চালকের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে গাড়ি থামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর প্রায় আটজনের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁদের আঘাত করে এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পিকআপ থেকে পাঁচটি গরু তাদের ট্রাকে তুলে নেয়। গরুগুলোর মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা।
আহত রেজওয়ান বলেন, ‘ডাকাতদের মারধরে আমরা আহত অবস্থায় সড়কের পাশে পড়ে ছিলাম। খবর পেয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
স্থানীরা বলেন, থানা এলাকার পাশে এ ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা প্রশাসনের উপরে আর ভরসা করতে পারছি না। এমন ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো বিষয়ে প্রশাসনের আরও কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক শেখ ওবাইদুল্লাহ বলেন, মহাসড়কে পাঁচটি গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদ উদ্দিন ডাকাতির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এখনও মামলা হয়নি।