এ.বি.এম.হাবিব : গাজীপুরে ধর্ম বোন বানিয়ে দু’সন্তানের জননীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্ব থানার পাগাড়, ঝিনু মার্কেট সংলগ্ন মতালেব খানের বাড়ীর দু’তলার ভাড়াটিয়া শরিফুল ইসলাম সবুজের স্ত্রীর সাথে এ ঘটনা ঘটেছে। তারা সেখানে প্রায় ৭বছর যাবত ভাড়াটিয়া হিসেবে আছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ঢাকা জেলার সাভার থানার হেমায়েতপুরের আলম নগর হাউজিং রোড নং-১২, বাসা নং-১৫ এর আলামীন শিপন নামের একজন রাফিজা আক্তার শিমুর ছোটভাই সজিবের সাথে সম্পর্ক ভালো থাকায়, সজিবের সাথে তার বড় বোন শিমুর উক্ত বর্তমান ঠিকানার বাড়ীতে যাওয়া-আসা করতো। এক পর্যায়ে শিমুকে ধর্ম বোন বানিয়ে মাঝে মধ্যে সে একাও সে বাড়ীতে যাওয়া-আসা করতো এবং তার ছেলে মেয়ের জন্য জিনিসপত্রও নিয়ে আনতো। বিষয়টি আশেপাশের অনেকেই জানতো।এর মধ্যে তাদের পরিবারে মধ্যে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরী করে ফেলে লম্পট শিপন। তার সাথে তাদের পরিবারের অনেক কিছু জেনে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত (৩০ অক্টোবর) ২০২৪ ইং তারিখে সকাল অনুমান ৯টার সময় শিমুর বাড়িতে সে একা আসে এবং ছেলে,মেয়ে ও স্বামীর কথা জিজ্ঞেস করলে শিমু স্বাভাবিক ভাবে বলে,ছেলে,মেয়ে স্কুলে এবং তার দুলাভাই অফিসে গেছে। এমন কথা শুনে শিপন বাসায় কেহ নেই বুঝতে পেরে হঠাৎ করে ঝাপটে ধরে শিমুকে। আকস্মিক ভাবে ঝাপটে ধরলে শিমু চিৎকার দিয়ে উঠে। এরপরও লম্পট শিপন জোরপূর্বক শিমুকে ধর্ষন করে এবং ধর্ষন শেষে তার উলঙ্গ অবস্থায় ভিডিও করে নেয়। এবং তাকে হুমকি দিয়ে বলে, বিষয়টি কাউকে জানালে ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছেড়ে দেবে বলে জানায়।
বাড়ীর মালিকের স্ত্রী শাহানাজ খানম জানায়, একবার সে একটা চিৎকার শুনতে পেয়ে দুতলায় গিয়ে শিমুর নাম ধরে ডাকাডাকি করেছে কিন্তু কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে সে নিচে চলে আসে। কিছুক্ষন পর, তার মন মানছিল না,সে আবারও দুতলায় গিয়ে শিমুর নাম ধরে ডাক দিতেই লম্পট শিপন দরজা খুলে জলদি বেড়িয়ে যায়, তাকে কি হয়েছে জিজ্ঞেসা করলে, সে কিছু হয়নি বলে খুব দ্রুত নেমে চলে যায়। এমন সময় শিমু ছাদের দিকে যায়। শিমুকে ডাকতে ডাকতে তার পিছন নিলে, শিমু কোন কথা না বলে সোজা ছাদ থেকে লাফ দিতে গেলে,সেখানে তাকে জড়িয়ে ধরলে,শিমু জানায় সে আর বাঁচবে না তাকে ছেড়ে দিতে বলে। এরপর শিমুকে শান্ত করে বিস্তারিত জেনে লম্পট শিপন বিষয়ে তিনি হবাক হোন এবং শিমু জানায় তার ছেলে-মেয়ে আছে, লজ্জায় মরণ ছাড়া কোন উপায় নেই। শিমুকে শান্তনা দিয়ে তাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে,হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে আগে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়। এরপর তারা থানায় গেলে টুঙ্গি পূর্ব থানা বিষয়টি তদন্তে জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করেন।
ভীকটিমও তার স্বামীর দেশের বাড়ী রাজবাড়ী জেলা সদরে বলে জানা যায়। লম্পট শিপনের দেশের বাড়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের রামরাইল (খন্দকার বাড়ী) আব্দুল মতিনের ছেলে বলে জানা যায়। এরমধ্যে দুদিন অতিবাহিত হয়ে যায়। ৩দিনের দিন গত (০১নভেম্বর) টুঙ্গি পূর্ব থানায় একটি ধর্ষণ মামলা নিয়ে ভিকটিমকে (২ নভেম্বর) মেডিকেল করার জন্য জয়দেবপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে টুঙ্গিপূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে ভিকটিমকে মেডিকেল করানো হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের জন্যে জোর প্রচেষ্টা অব্যহত আছে বলে তিনি জানান।
জানা যায়, লম্পট শিপন বেশকিছু টাকা পয়সাও তাদের কাছ থেকে নিয়েছে,সে টাকা গুলো না দেওয়ার জন্যই ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করেছে বলে অনেকেই ধারণা করছে। ধর্ষক শিপন তার সকল মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ রেখে আত্মগোপনে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগী সহ স্থানীয়রা লম্পট শিপনের ধর্ম বোন বানিয়ে,এ হেন কুকর্মের জন্য মাননীয় বিচারকের কাছে কঠিন শাস্তি আশা করেন।