বিশেষ প্রতিনিধি: গণঅভ্যুত্থানের অর্জনকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা আগামী ১৫ আগস্ট রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করে বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে, দেশের কল্যাণ কামনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অ্যালায়েন্স মঙ্গলবার সারাদেশে রোজা পালন ও প্রার্থনার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান। সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “যারা খুনিদের পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করছেন, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো হবে। উপদেষ্টাদের মনে রাখা উচিত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফলে তারা উপদেষ্টা হয়েছেন। খুনিদের পুনর্বাসনের কোনো চেষ্টা করা উচিত হবে না।” তিনি আরও বলেন, “ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে।”
ডাকসুর সাবেক সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, “আওয়ামী লীগ এখন পরাজিত শক্তি, এবং তারা নানা কূটকৌশলের মাধ্যমে ১৫ আগস্ট ক্যু করার পরিকল্পনা করছে, কিন্তু আমরা তা সফল হতে দেব না।”
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্সের কর্মসূচি
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অ্যালায়েন্স সোমবার এক বিবৃতিতে সব শিক্ষার্থীকে দ্রুত ঢাকায় ফেরার আহ্বান জানায়। তারা আজ মঙ্গলবার দেশের কল্যাণ কামনায় মুসলমানদের রোজা পালন এবং হিন্দুদের মন্দিরে বিশেষ পূজা আয়োজনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানদের প্রার্থনা কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং তার বিচারের দাবিতে আগামী ১৫ আগস্ট শিক্ষার্থীরা সারাদেশে রাজপথে অবস্থান করবে। এছাড়া, অ্যালামনাইরা বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে আন্তর্জাতিকভাবে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।