ক্ষতিগ্রস্তদের দাবীর পরিমাণ দেড়কোটি
ইউসুফ হুসাইন লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের লালপুরে আব্দুলপুর বাজারে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাতে ৮ দোকানঘর সহ সকল মালামাল পুড়ে ভুস্মিভূত এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাই আটটি দোকানঘর ও মালামাল পুড়ে অন্তত দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের। তবে আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আজ শুক্রবার (১৪ জুন ) ভোর ৪টার দিকে চংধুপইল ইউনিয়নের আব্দুলপুর বাজারে শাহিনের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, ভোরে শাহিনের দোকানঘরে থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুনের লেলিহান ও বাজারে নাইট গার্ড ও লোকজনের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসে। কিছু বুঝে উঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে পাশের জাকির, লালন উদ্দিন, সুমন কুমার সরকার,দীপক কুমার সরকার, নাজমুল হোসেন নজরুল ইসলাম দুখুর দোকান ঘরসহ মোট সাতটি দোকান ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।এসময় দোকানঘরে লোকজন না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়।খবর পেয়ে দয়ারামপুর ও লালপুর ফায়ার স্টেশনের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগেই আগুনে আটটি দোকান ঘরে থাকা মূল্যবান মালামাল পুড়ে অন্তত
দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দয়ারামপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ফজলুর রহমান সংবাদকর্মী দের জানান, ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড়ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। তবে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দাবি করলেও ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা। খবর পেয়ে পরিদর্শনে আসেন নাটোর-১ ( লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ । তিনি বলেন দুর্ভাগ্যজনক ভাবে হলেও আমাদের আব্দুল পুর বাজারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এতে বাজার ও তাদের ব্যাক্তিগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । এলাকার লোকজন, দয়ারামপুর ও লালপুর ফায়ার স্টেশনের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় তাদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন । তা নাহলে হয়তো বাজারের আরও ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো । যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের কে সমবেদনা জ্ঞাপন করেন । ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জাতীয় অর্থনীতির সংবাদকর্মীকে বলেন , আমাদের বাড়ীঘর ও দোকানপাটের কোন হিসাব নেই । তবে তিনি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোচনা করে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।