নিজস্ব প্রতিবেদক: শুক্রবার রাতে কালিগ্রাম দুর্গা মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের সময় তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন বাঘা থানার ওসি আবু সিদ্দিক।
আটক যুবকের নাম বাপ্পি হোসেন (২৫)। তিনি বাঘা পৌরসভার কলিগ্রামের মিঞাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং জমসেদ আলী ভেগলের ছেলে। বাপ্পি একসময় মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতেন, তবে গত দুই বছর ধরে বাড়িতেই ছিলেন এবং মাঝে মাঝে রিকশাভ্যান চালাতেন। তিনি তাবলিগ জামাতেও অংশগ্রহণ করতেন।
ঘটনার পর কলিগ্রাম সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি অরুন সরকার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় বাপ্পিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ভোরে বাপ্পি পাকুড়িয়া ইউনিয়নের পালপাড়া, ঘোষপাড়া এবং কলিগ্রাম সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে প্রতিমা ভাঙচুর করেন। সর্বশেষ কালিগ্রাম দুর্গা মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের সময় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তাকে আটক করে এবং পরে সেনা সদস্যদের সহায়তায় পুলিশে হস্তান্তর করেন।
অরুন সরকার জানান, সকাল ৬টার দিকে মন্দিরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বাপ্পি প্রতিমা ভাঙচুর শুরু করেন। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাকে আটক করে।
বাঘা থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাপ্পি মন্দিরে প্রবেশ করে প্রতিমা ভাঙচুরের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, আবেগের বশবর্তী হয়ে এই কাজ করেছেন। তার বোনের ফোনে একটি ভিডিও দেখেন, যেখানে বলা হয়েছে ভারত থেকে পানি ছেড়ে দেওয়ায় বাংলাদেশে বন্যা হয়েছে। এই ভিডিও দেখে সারারাত ঘুমাতে না পেরে তিনি মন্দির ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন।
ওসি আরও জানান, এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। পাশাপাশি বাঘার মন্দিরগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।