নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন চূড়ান্ত
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এই প্রস্তাবের প্রতি সম্মতি দেন তিনি।
তথ্যমতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের জন্য একটি প্রাথমিক তালিকাও রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তালিকাটিতে ১০ থেকে ১৫ জনের নাম রয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আলী ইমাম মজুমদার, ড. শাহ্দীন মালিক, ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী, মো. তৌহিদ হোসেন, শহীদুল্লাহ খান বাদল, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, এবং সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রমুখ। রাষ্ট্রপতি বৈঠকে আরও একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন সংখ্যালঘু এবং একজন আদিবাসী সদস্য যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন।
সমন্বয়কদের সূত্রে আরও জানা যায়, ড. ইউনূসের পক্ষ থেকেও ৩১ সদস্যের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। দেশে ফেরার পর তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে উপদেষ্টাদের নাম চূড়ান্ত করা হবে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাবিত হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আকার ১৫ থেকে ২০ সদস্যের হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৈঠকের পর বঙ্গভবন থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। এতে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, দেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে এবং এ সংকট উত্তরণে যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা জরুরি। উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যান্য সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মনোনয়ন দেওয়ার পরামর্শ দেন এবং দেশবাসীকে সংকট উত্তরণে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সমন্বয়ক।