নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়ার মিরপুরে পদ্মার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। শুক্রবার (৯ নভেম্বর) তালবাড়িয়া ইউনিয়নের মির্জানগর গ্রামে ফসলি মাঠ ও ঘরবাড়ি হারানো মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ভাঙনরোধে করণীয় বিষয়ে স্থানীয়দের কথা শোনেন।
পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের রাগীব রউফ চৌধুরী বলেন, এটা আমার নিজের ইউনিয়ন নিজের গ্রাম। গত ১৫-১৬ বছরে নদী ভাঙতে ভাঙতে দুই/তিন কিলোমিটার ভেতরে চলে এসেছে। অনতিবিলম্বে এখানে স্থানীয় বাঁধ নির্মাণ করা নাহলে কুষ্টিয়া-ইশ্বরদী জাতীয় মহাসড়কটিও নদীগর্ভে বিলীন হবে। এই সড়কটি রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে। বড় দুটি গোরস্থান ভেঙে পড়বে।
তিনি বলেন, এখানে ভাঙন এতোটাই তীব্র, দেখা যাচ্ছে শতবিঘা জমির মালিকও একদম নিঃস্ব হয়ে গেছে। জিও ব্যাগ-টিউব ব্যাগ না দেখিয়ে যদি আগে থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড স্থায়ী ব্যবস্থা নিতো তাহলে এই অবস্থার সৃষ্টি হতো না।
এ বছর ভাঙনে মিরপুর উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে সাহেবনগর ও মির্জানগর এলাকা। এখান থেকে পদ্মার উল্টো পাশেই নির্মিত হয়েছে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। রাগীব রউফ বলেন, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষায় যে বাঁধ দেওয়া হয়েছে, তার কারণেই এইদিকে ভাঙন অতিতীব্র আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থায় এই পাড়েও শক্ত বাঁধ দেওয়া না গেলে কুষ্টিয়ার বড় অংশ নদীগর্ভে বিলীন হবে। বসতবাড়ি হারাবেন হাজারো মানুষ। তিনি দুর্নীতিমুক্ত থেকে কুষ্টিয়ার তিনটি উপজেলাকে রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেওয়া ১৪৭২ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার আহ্বান জানান।