অনলাইন ডেক্স: তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেছেন যে, ভারতের শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশ-বিরোধী মিথ্যাচার এবং বিভেদের রাজনীতিতে লিপ্ত। তিনি বলেন, “ভারতের হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলো ও শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশ-ভারত জনগণের মধ্যে গণতান্ত্রিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতি স্থাপনে আগ্রহী নয়।”
মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক ও এক্স অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক বিবৃতিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের সময় কলকাতা ও দিল্লির ছাত্ররা একাত্মতা প্রকাশ করেছে। অথচ ভারতের শাসকগোষ্ঠী এটি হুমকি হিসেবে দেখছে।”
সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগ
নাহিদ ইসলাম আরও দাবি করেন, ভারত সরকার ‘সংখ্যালঘু নিপীড়ন’-এর অজুহাতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, “দিল্লি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশ হিন্দুসহ সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে আওয়ামী লীগের আমলেই সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয়েছে। তবুও ভারত সরকার আওয়ামী লীগকে নিঃশর্ত সমর্থন দিচ্ছে।”
দুই দেশের স্থিতিশীলতা নিয়ে সতর্কবার্তা
নাহিদ ইসলাম বলেন, “ভারতের স্থিতিশীলতা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। বিজেপি যদি বাংলাদেশকে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ইস্যুতে পরিণত করে, তবে তা ভারতের জন্য ক্ষতিকর হবে।”
তিনি ভারতের প্রতি আহ্বান জানান, “বাংলাদেশ-বিরোধী মিথ্যা প্রচারণা বন্ধ করুন এবং দু’দেশের জনগণের মধ্যে গণতান্ত্রিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতি বজায় রাখুন।”