বিশেষ প্রতিনিধি: সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে সংঘাত ও সহিংসতা সৃষ্টির ফলে ডাকাতদের তৎপরতা কমলেও চোরাগোপ্তা খুন ও জখমের ঘটনা বেড়ে গেছে। গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, থানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, যার ফলে রাজধানীসহ দেশজুড়ে পুলিশের কার্যক্রম অনেকটাই থমকে যায়। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডাকাতি শুরু করে, যার ফলে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ওঠে এবং নিজেরাই পাহারার দায়িত্ব নেয়।
পাড়া-মহল্লায় সতর্কতা বাড়ার ফলে ডাকাতদের তৎপরতা কমে আসলেও চোরাগোপ্তা খুন ও জখমের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। গত মঙ্গলবার যাত্রাবাড়ী এলাকায় দুই ছাত্র ও এক হোটেল ম্যানেজারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, একটি নারীঘটিত বিষয়ে তাদের হত্যা করা হয়। একই দিন ওয়ারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই ভাইকে হত্যা করা হয়। এলাকাভিত্তিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেও বিভিন্ন স্থানে মারামারির ঘটনা ঘটছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
উত্তরার বাসিন্দা শান্তা আকন্দ বলেন, ডাকাতির ঘটনা কমে এলেও তার পরিবারের মধ্যে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে। খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা মানিক মিয়া জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তারের জন্য দখলবাজি ও চাঁদাবাজির ঘটনা বেড়ে গেছে।
এদিকে, গাজীপুরের টঙ্গীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গার্মেন্ট কারখানা দখল ও একজন নারী উদ্যোক্তার বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনার ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর জানিয়েছেন, সহিংসতার কারণে থানাগুলোতে পুলিশের উপস্থিতি কম থাকলেও পুলিশ পুনরায় সক্রিয় হয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য থানা-পুলিশের কার্যক্রম পুনরুদ্ধারে কাজ চলছে।