টঙ্গী আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন..

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের টঙ্গীতে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে টঙ্গী বাজার এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে সিটি করপোরেশনের শাখা সড়ক ও বসত বাড়ি দখলের অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

পরিবার টির অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবত তাদের বসতবাড়ি ও বাড়ির সামনের শাখা সড়কটি দখলের পাঁয়তারা করে আসছে গাজীপুর মহানগরীর ৫৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আফজাল খান দুলু। এছাড়া বাড়ির সামনের শাখা সড়ক বন্ধ করে সিটি করপোরেশনের জায়গায় অবৈধভাবে দোকান নির্মান করে বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। প্রায় এক যুগ যাবত ভুক্তভোগী পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা। অভিযুক্ত দুলু খান গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানের চাচাতো ভাই।

লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী মনির হোসেন জুয়েল বলেন, তার বাবা শাহজাহান শিকদার ১৯৮৬ সালে ভরান এলাকার ফরিদ খাঁনের নিকট থেকে ৩ কাঠা জমি কিনেন। আর্থিক সংকটের কারনে ১৯৯৭ সালে ১ কাঠা জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা ছাড়াই ওই ১ কাঠা জমি নিজের ছোট ভাই ঝন্টু খানের নামে রেজিষ্ট্রি করে নেন দুলু খান। পরে বাকি ২ কাঠা জমি সহ বাড়িটি জবরদখল নিতে পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করতো।

আওয়ামিলীগ লীগের সভাপতি পদ পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন দুলু খান। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় হত্যা ও ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করেন তিনি। এছাড়াও জমি দখল, বাড়ী নির্মাণে বাঁধা ও ডেভলপার কোম্পানি  ভবন নির্মাণ দুলু খাঁনকে টাকা ছাড়াই ফ্ল্যাট দিতে হতো।

সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুলু খানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হলেও তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেমে থাকেনি দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারটি বলেন, তার ছোট ভাই ঝন্টু খান, গাড়ি চালক খলিল সন্ত্রাসী বাহীনি প্রতিনিয়ত পরিবারটিকে হুমকি দিয়ে আসছে। আমরা আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে  থানায় লিখিত অভিযোগ করেও আইনি সহায়তা পাইনি। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *