নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারলে ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া যাবে না। ভোট যাতে হয়, সেটি নিশ্চিত করত দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারলে ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া যাবে না। আর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব নয়। ভোট যাতে হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শনিবার কৃষক দলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির দ্বিতীয় শীর্ষ এই নেতা লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ১০ নভেম্বর থেকে আগামী তিন মাস প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশের ঘোষণা দেন। কৃষক দলকে কৃষকনির্ভর করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তারেক রহমান বলেন, কৃষক সমাবেশে কৃষকদের সমস্যা শুনতে হবে। তারপর সেই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় গেলে শহীদ জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচি শুরু করা হবে। আমাদের দেশে অনেক এলাকা আছে যেখানে কৃষক প্রয়োজনীয় পানি পায় না। ফসল উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়। খাল খননের মাধ্যমে শহীদ জিয়া পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। যেখানে একটি ফসল হতো সেখানে পানি সরবরাহ সুবিধার কারণে দুটি হয়েছিল, দুটি ফসলের জায়গায় তিনটি ফসল হয়েছিল।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ২০ কোটি মানুষের জন্য খাদ্য উৎপাদন করতে হলে কৃষির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এতো মানুষের জন্য খাদ্য আমদানি করা সম্ভব নয়। তাই মৌলিক খাদ্য দেশেই উৎপাদন করতে হবে। তাই কীভাবে কৃষিজমি বাড়ানো যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কিছু পদক্ষেপ আছে যেগুলো নিলে কৃষিজমি বাড়ানো যাবে। আর তা করা সম্ভব একমাত্র ক্ষমতায় গেলে।
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীদের বড় একটা অংশ কৃষির সঙ্গে জড়িত। তাই কৃষির প্রতি নজর দিতে হবে। আমরা প্রতিবার চেষ্টা করেছি কৃষি সমস্যার প্রতি নজর দিতে।
‘খালেদা জিয়ার সময়ে সরকার পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ মওকুফ করে দিয়েছিল। ফসলের মৌসুমে বিদ্যুৎ বিল সরকার বহন করত। এসবের মধ্য দিয়ে কৃষকদের কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে