নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর চাকরি হারানো শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের তালিকায় যোগ হয়েছে আরো দুটি নাম। এই দুইজন তিন তারকা জেনারেল সম্প্রতি চাকরি হারিয়েছেন।
বিজয়ী হয়েছেন আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (আর্টডক) এর জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমান, যিনি আগে শেখ হাসিনার নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এর মহাপরিচালক ছিলেন। তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) এর সাবেক কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলমকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। তিনি পূর্বে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তর (ডিজিএফআই) এর মহাপরিচালক ছিলেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার এই দুই সেনা কর্মকর্তার বরখাস্ত ও বাধ্যতামূলক অবসরের আদেশ জারি করেছে, যা আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর নিশ্চিত করেছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমানের সাবেক পদ ছিল সেনা সদরের কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি)। তিনি হোলি আর্টিজান জঙ্গি হামলার পর ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করে আলোচনায় আসেন। তার আগে তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ছিলেন এবং এসএসএফের মহাপরিচালক হিসেবে শেখ হাসিনার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমের সর্বশেষ পোস্টিং ছিল ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে। সরকারের পতনের পর তাকে সেনাবাহিনী থেকে সরিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরিত করা হয়। সেনাবাহিনীতে তার অতীত দায়িত্বগুলোর মধ্যে রয়েছে সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, ডিজিএফআই প্রধান এবং ১১ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি।
অবশ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও মালিকানাধীন ব্যবসার হিসাবও স্থগিত করা হয়েছে।