এশিয়ান টেলিভিশনের কুষ্টিয়ার স্টাফ রিপোর্টার ও স্থানীয় দৈনিক সত্যখবর পত্রিকার সম্পাদক হাসিবুর রহমান রিজুর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় আহত সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রিজুর স্ত্রী টপি বিশ্বাস কুষ্টিয়া মডেল থানায় বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উলেখসহ অজ্ঞাতনামায় ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী শিপন কটূক্তি করলে এই নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ এবং পূর্ব বিরোধের জেরে হাসিবুর রহমান রিজুর ওপর এ হামলা চালানো হয়। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে হাসিবুর রহমান রিজু সভাপতি সম্ভাব্য প্রার্থী হন। গত বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে ওই নির্বাচনের মিটিং-এ অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে হরিপুর বাজারস্থ বিদ্যালয়ে মোটরসাইকেল যোগে যাচ্ছিলেন। এসময় পথে স্থানীয় প্রভাবশালী শিপন, মুরাদ ও রাজনের নেতৃত্বে কয়েকজন রিজুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে হামলাকারীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে প্রায় আধঘণ্টা ধরে পড়েছিলেন রিজু। এসময় ঘটনাস্থলে কাউকে আসতে দেয়নি হামলাকারীরা। পরে হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। এখন তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত বারব আলী নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ মামলার বাদী হাসিবুর রহমান রিজুর স্ত্রী টপি বিশ্বাস বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে স্থানীয় প্রভাবশালী শিপন কটূক্তি করলে এই নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করার জেরেই আমার স্বামী সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রিজুর ওপর এমন বর্বোরচিত সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা রিজুকে হত্যার হত্যার উদ্দেশ্যে দুই পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বাম হাতের কবজি ও দুই হাতের আঙুলে, বুকে ও মাথায় গুরুতর জখম করা হয়েছে। এ হামলার সঙ্গে জড়িত কেউ যেন ছাড় না পায়, সেই দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা বলেন, সাংবাদিক হাসিবুরের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ হামলায় জড়িত থাকায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’