নিজস্ব প্রতিনিধি: দুই যুগ ধরে বহাল ,নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও পূর্ণ পদে বহাল থাকার জন্য চালাচ্ছেন নানা তদবির ও বিভিন্ন জায়গায় উৎকোচ প্রদান।
টঙ্গীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন এন্ড কলেজ অত্যন্ত সুনাম হওয়ায় শিক্ষার কার্যক্রম হিসেবে প্রাক প্রাথমিক থেকে কলেজ শাখা পর্যন্ত পাঠদানের বিশেষ উদ্যোগ নেয় শিক্ষা অধিদপ্তর।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দুটি শিফটে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০০০। বিদ্যালয়ে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাই বেশি। তাদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে বিধি বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন ফির নামে লাখ লাখ টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে এই অধ্যক্ষের নামে।
শুধু তাই নয় আয়া ও বুয়াদের কাছ থেকে চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য উৎকোচ নেন বিশ হাজার করে টাকা। সহকারী শিক্ষকদের স্কেল পরিবর্তন করার জন্য টাকা নেন ১২ থেকে ১৬০০০ করে।
সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এভাবে ফি আদায়ের কোন নিয়ম নেই। বছরের পর বছর মিথ্যা, বিল ,ভাউচার এর মাধ্যমে আদায়কৃত টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি একাই।
অভিযুক্ত ও দুর্নীতিবাজ শিক্ষক ওয়াদুদুর রহমানের পৈত্রিক বাড়ি গাজীপুর কালিগঞ্জ উপজেলা বৃন্দান। বর্তমান উত্তরা হাউজ নং চার ,রোড নং ২৬, সেক্টর ৭। দুই ছেলে প্রবাসী থাকেন অস্ট্রেলিয়া।
তিনি প্রথমে শফিউদ্দীন সরকার স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করলে ও পরে ছাত্রী নিয়ে নারী কেলেঙ্কারিতে চাকরি জান তার। পরে বাঁচতে শেখায় এনজিও তে চাকরি করেন দীর্ঘ ১০ বছর।
হাফিজ উদ্দিন সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের মাধ্যমে যোগদান করেন ২০০৪ সালে উক্ত স্কুল এন্ড কলেজে। দীর্ঘ 20 বছর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি এই অধ্যক্ষকে।
সহকারী শিক্ষক হিসেবে অভিজ্ঞতা না থাকলেও সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে তিন বছরের অভিজ্ঞতার নিয়ম থাকলেও তিনি তা নিয়মের বহির্ভূত হয়েই প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন এখানে।
২০০৭ সালে ৫৪ জন শিক্ষককের লিখিত অভিযুগে প্রধান শিক্ষকের বৈধতার চ্যালেঞ্জে তিন মাস চাকরিতে যোগদান করেনি এই অধ্যক্ষ। তত্ত্বাবধায়ক চলমান ঐ অবস্থায় আত্মীয় মেজরের পরিচয় নিয়ে জিম্মি করে শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষকের পদে বহাল থাকেন তিনি।
দীর্ঘ সময় কর্মস্থলে থেকে রাজনৈতিক আয়ত্তে ক্ষমতার দাপটে শিক্ষকদের হুমকি ও ধামকির মাধ্যমে নিজের অবস্থান আরো শক্ত করেন তিনি। খুঁটি শক্ত পক্ত করতে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও জড়িয়ে অন্যান্য শিক্ষকদের চাপের মুখে রেখে ঘরে ঘরে নৌকার ভোট চান, শুধু তাই নয় স্কুলে বানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি কৃত ছবিতে ফুল দেওয়ার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। এভাবে নেতাদেরকে সক্ষতার মাধ্যমে এনে কোটি টাকার পাহাড়। আর সেই সখ্যতার পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন দেশি-বিদেশি ভুয়া অ্যাওয়ার্ড বিভিন্ন লং সফর।
আগামীতে বাড়ি, ফ্ল্যাট নিয়ে পঞ্চম পর্ব চলমান