নিজস্ব প্রতিবেদক: এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত করতে এবার জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার নম্বর সমন্বয় পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। এর জন্য পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে শিক্ষা বোর্ড।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সূত্র থেকে জানা গেছে যে, কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠনের কারণে কিছু পরীক্ষার আয়োজন স্থগিত হয়ে যায়। বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর জন্য এবার সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। এই পদ্ধতিতে, জেএসসিতে পাওয়া নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসিতে পাওয়া নম্বরের ৭৫ শতাংশ যোগ করে শিক্ষার্থীর চূড়ান্ত নম্বর নির্ধারণ করা হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি জেএসসিতে কোনো বিষয়ে ১০০ নম্বর পাওয়া হয় এবং এসএসসিতে ১০০ নম্বর পাওয়া হয়, তাহলে ওই বিষয়ে এইচএসসির ফলাফল হবে ১০০ নম্বর।
গত সপ্তাহে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ফল প্রকাশের জন্য একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। প্রস্তাবটি এখন যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় রয়েছে এবং শিগগিরই মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার জানান, ‘করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। পূর্বে ব্যবহৃত সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতির মাধ্যমে ফল প্রস্তুত করা হবে। প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত এলে দ্রুত ফল প্রকাশ করা হবে।’
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ৩০ জুন ২০২৪ তারিখে এবং ১৬ জুলাই পর্যন্ত যথাযথভাবে অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোটা আন্দোলনের কারণে ১৮, ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। পরবর্তীতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে পরীক্ষার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১১ আগস্ট। পরীক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাগুলোর বাতিলের দাবি করে আন্দোলন শুরু করে এবং ২০ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে। পরবর্তীতে এসব পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন।