নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানীর উত্তরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র- জনতার আন্দোলনে গুলিতে শিক্ষার্থীসহ দুজনকে হত্যার ঘটনায় পৃথক দুই মামলায় আওয়ামী- ও তার সহযোগী সংগঠনের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ । মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দিনগত রাতে তুরাগ থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় । বুধবার (২ অক্টোবর) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান । গ্রেপ্তারকৃত হলেন- জাতীয় শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আল মামুন মিয়া ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. আব্দুল মোতালিব । এছাড়া আওয়ামী লীগ কর্মী সাব্বির, মারুফ ও ইব্রাহীম। ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গত ৫ আগস্ট বিকেলে উত্তরার পশ্চিম থানার জসিমউদ্দিন রোডের আরকে টাওয়ারের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার বিজয় উল্লাস চলছিল। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গুলিতে শিক্ষার্থী ওমর নুরুল আবছার গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওমর নুরুল আবছারের মায়ের অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানায় গত ৩১ আগস্ট একটি মামলা রুজু হয়। ডিসি তালেবুর রহমান আরও বলেন, মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ ঘটনায় জড়িত দুই আওয়ামী লীগ নেতা আল মামুন মিয়া ও মো. আব্দুল মোতালিবকে শনাক্ত করার পর মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে গত ৫ আগস্ট বিকেলে উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ছোড়া গুলিতে সানজিদ হোসেন মৃধা গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সানজিদের বাবা ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আওয়ামী লীগের তিন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।