আবু সাঈদ হত্যা: সাবেক আইজিপি ও ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি: রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আবদুল বাতেন, সাবেক রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার বাদী আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী। আবু সাঈদ কোটা সংস্কার আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন এবং গত ১৬ জুলাই আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন।

আজ রোববার, মামলার আবেদন রংপুরের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা হয়। বিচারক রাজু আহমেদ তাজহাট থানাকে মামলাটি গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আইনজীবী রায়হান কবীর ও রোকনুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন রংপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আল মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, আল ইমরান হোসেন, তাজহাট থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়, সহকারী উপপরিদর্শক আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়।

আবদুল বাতেন ও মনিরুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে, রবিউল ইসলাম, আমির আলী ও সুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আবু সাঈদ নিরস্ত্র অবস্থায় ছিলেন এবং পুলিশ তাকে গুলি করার কোনো হুমকি ছিল না। ঘটনার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়ার নেতৃত্বে ছাত্রছাত্রীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয় এবং পুলিশকে আবু সাঈদকে লক্ষ্য করে গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক মশিউর রহমান ও আসাদুজ্জামান মণ্ডল পুলিশকে গুলি করার প্ররোচনা দেন।

আবু সাঈদ ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। তার হত্যার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে এবং শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যান।

বাদী রমজান আলী বলেছেন, তাঁর ভাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং তারা ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য মামলা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *