মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ জাতীয় আইডি কার্ডের ভুল সংশোধনের আবেদন করে অনলাইনে সংশোধিত কার্ড ডাউনলোড করা গেলেও জাতীয় স্মার্ট কার্ড বিতরণ কালে সেই পুরোনো ও অসংশোধিত কার্ডই হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জাতীয় আইডি কার্ড সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু থেকে শুধু উপজেলা নির্বাচন অফিসেই এ পর্যন্ত সংশোধনের আবেদন পড়ে প্রায় সাড়ে চারহাজার (৪৫০০) এবং সবগুলোই নিষ্পত্তি হয় । কিন্তু জাতীয় স্মার্ট কার্ড হাতে পাওয়ার পর অনেকেরই অভিযোগ নিষ্পত্তি বা সংশোধিত কার্ড কেউই পাননি । ইতোমধ্যে যা নিয়ে ভুক্তভোগীদের মাঝে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ ।
উপজেলার রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের লাকী আক্তার তাঁর মায়ের নাম নূরন্নাহার আক্তারের জায়গায় আক্তার বাদ দিয়ে সংশোধিত জাতীয় আইডি কার্ড ডাউনলোড করে হাতে পেলেও জাতীয় স্মার্ট কার্ডটি পান অসংশোধিত অবস্থায় । যা নিয়ে তিনি সরকারি কাজে গাফিলতির ইঙ্গিত দিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন ।
কেন্দুয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড বাসিন্দা তাহের আলম (ছদ্ম নাম) তাঁর বাবার নাম সংশোধিত করে মতিউর রহমান করেন এবং ডাউনলোড করে সংশোধিত কার্ডও পান । কিন্তু জাতীয় স্মার্ট কার্ড হাতে পেয়ে দেখতে পান আগের নাম মতিয়র রহমান রয়ে গেছে, ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন একটি কার্ড একবার সংশোধনের জন্যে ব্যাটসহ সর্বনিম্ন ২৩০ টাকা দিতে হয়েছে । আরো প্রায়১০০ টাকা দিতে হয়েছে কম্পিউটারের দোকানে । যারা আবেদন করেছেন তাদের সবারই যদি অসংশোধিত স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হয়ে থাকে তাহলে এ দায় কার ?
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে প্রথমে কোন তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানালেও পরে ডেকে জানান, সংশোধনের পূর্বেই ডাটাবেইজটি স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিংয়ের জন্যে নিয়ে যাওয়া হয় । উল্লেখিত লাকী আক্তারের সংশোধিত কার্ডটি ২০২৩ সালের ২অক্টোবর ডাউনলোড করা হলেও জাতীয় স্মার্ট কার্ডটি প্রিন্ট করা হয় ২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারী উদাহরণ দিয়ে শো করলে তিনি এর সদুত্তর দিতে পারেননি । জাতীয় স্মার্ট কার্ড সংশোধন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি এবং অসংশোধিত স্মার্ট কার্ডগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করবো