অনলাইন ডেস্ক – নতুন বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছেছে পরিমার্জিত ও আধুনিকায়ন করা নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, “ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ পালাবদলগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য নতুন বইগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দেশের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে আরও গভীর জ্ঞান দিতেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।“
বাংলাদেশের ইতিহাসে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনকে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত করে নতুন পাঠ্যবইয়ে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে লেখা বীরগাথাগুলো নতুন প্রজন্মকে ইতিহাসের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। পাশাপাশি আন্দোলনের পটভূমি, গুরুত্ব এবং এর প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক অধ্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের পাশাপাশি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়টিও স্থান পেয়েছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে দেশি-বিদেশি সহায়তা, পাকিস্তানের পক্ষে থাকা দেশগুলোর ভূমিকা এবং বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র ও ব্যক্তিদের অবদানকে গুরুত্বসহকারে উপস্থাপন করা হয়েছে।
পাঠ্যবইয়ের পেছনের মলাটে আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী স্থান পেলেও, এবার তা পরিবর্তন করে সেখানে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের একটি প্রতীকী গ্রাফিটির ছবি সংযোজন করা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আন্তর্জাতিক সংগীতশিল্পী জর্জ হ্যারিসনের ঐতিহাসিক ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এর ভূমিকা এবং তাৎপর্যও নতুন পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এনসিটিবি জানিয়েছে, নতুন পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো সম্পর্কে আরও সচেতন হবে। এই উদ্যোগ নতুন প্রজন্মকে জাতীয় ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।