শ্রীনগর,মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ড শিবরামপুর এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী হরিদাস মন্ডল (৪০) এর স্ত্রী রিতা মন্ডল (৩০) রামপ্রসাদ রাজবংশী পিতা নরেশ রাজবংশীর সাথে ভেগে গিয়ে নতুন সংসার করছেন বলে জানা গেছে।
ভেগে যাওয়া রিতা মন্ডলের পিত্রালয় হাঁসাড়া ইউপির লক্ষীবিলাশ গ্রামে পিতার নাম,মন্টু বাড়ৈ মাতার নাম,সবিতা রানী। বিগত ১৩ বছর পূর্বে শিবরামপুরের হরিদাস মন্ডলের সাথে রিতার বিবাহ হয়। মুগ্ধ মন্ডল নামে তাদের ঘরে ১১ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। রিতা মন্ডল ভেগে যাওয়ার সময় তার ছেলে মুগ্ধ মন্ডল, স্বামীর দেওয়া ৫ ভরি স্বর্ণ এবং নগদ ১ লক্ষ টাকা,এবং তার নিকট জমা থাকা ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ভোটার আইডি কার্ড,চেক বইসহ অনান্য মূল্যবান জিনিস পত্র নিয়ে যান বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী হরিদাস মন্ডলের।
হরিদাস মন্ডল প্রবাসে থাকায় তার বড় ভাই বাহাদুর মন্ডল বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।স্বৈরাচার সরকার পতনে শৃঙ্খলার চরম অবনতি হওয়ায় বিচার পাওয়ার প্রক্রিয়া আটকে যায়।বিগত তারিখ হরিস মন্ডল দেশে এসে তার স্বর্ণালংকার,টাকা,চেক বই,ভোটার আইডি কার্ড সহ অনান্য মালামাল ফিরত চাইলে রিতা মন্ডল এবং তার কথিত স্বামী রামপ্রসাদ তাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলে জানান হরিস মন্ডল। অনুসন্ধানে জানা যায়,রামপ্রসাদের প্রকৃত বাড়ি নবাবগন্জ থানার পাড়া গ্রাম এলাকায় হলেও তার পিতা রং লাল রাজবংশী বাড়ৈখালীতে মুক্তিযোদ্ধা নরেশ রাজবংশীর বাড়িতে লজিং থাকতেন। মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে লজিং থাকার সময় ২০০৭ সালে হঠাৎ করে ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭ শতক জমি ক্রয় করে বাড়িতে ব্লিডিং নির্মাণ করে। আড়িয়াল বিল ও মাওয়া হতে মাছ ক্রয় করে স্হানীয় বাড়ৈখালী বাজারে বিক্রী করে কোটি পতি বনে যাওয়ায় এলাকায় কানা ঘোষা চলছে। কিছু দিন পূর্বে বাড়ির পাশে নির্মাণাধীন ভবনসহ ৬ শতক জমি ৩৮ লাখ টাকায় ক্রয় করেন রাম প্রসাদ।অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে বিবাহ করতে রাজি না হওয়ায় প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয় করেও অবশেষে বিবাহ করতে বাধ্য হন।তার ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। চরিত্রহীন মাদক সেবী রাম প্রসাদ আপন সমন্ধি মালয়েশিয়া প্রবাসী মনোরন্জন এর স্ত্রী দিপীকার সাথে অবৈধ প্রণয়ে জড়িয়ে বিচার শালিশে দু লাখ টাকা জরিমানা দেন। মাদক মামলায় শ্রীনগর থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে সেখানেও ২ লাখ টাকায় সমাধান করেন। রাম প্রসাদের ৩৮ লাখ টাকায় বাড়ির পাশে আরেক টি অর্ধ নির্মীত বাড়ি ক্রয় করেন। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে সামান্য মাছ বিক্রী করে কিভাবে এত টাকার মালিক বনে গেলেন তা নিয়ে এলাকাবাসী বিস্মিত।
এ ব্যপারে রামপ্রসাদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেন নি।