আনোয়ার হোসেন রানা,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাঘাটায় থানায় ঢুকে পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পরদিন সকালে হামলাকারীর মরদেহ উদ্ধারের হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাত ১০টার দিকে থানার অভ্যন্তরে কর্তব্যরত এএসআই (সহকারী উপ-পরিদর্শক) মহসিন দূর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,ছুরিকাঘাতের পর এএসআই মহসিনের চিৎকারে থানা পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন। তারা ওই দূর্বৃত্তকে ধাওয়া করলে সে দৌঁড়ে পাশের সাঘাটা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরে লাফিয়ে পড়ে আত্মগোপন করে। পুকুরটি কচুরিপানায় পরিপূর্ণ হওয়ায় তাকে সহজে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি। রাতভর পুলিশ পুকুরটি চারপাশ পাহারায় রাখে। পরদিন সকাল সোয়া নয়টায় ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী ডুবুরি দল তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তার পকেট থেকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটির কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রবেশপত্র ও একটি ইলেকট্রিক টুলস (কম্বিনেশন প্লায়ার্স) উদ্ধার করা হয়। প্রবেশপত্র দেখে তার নাম সিজু মিয়া,পিতা দুলাল মিয়া ও মাতা রিক্তা বেগম এবং গাইবান্ধায় বাড়ি বলে পরিচয় জানা যায় ।
এ সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলম জানান, “যুবকটি থানার এক কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে পাশের এক পুকুরে ঝাপ দেয় এবং সাতার না জানার কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি।”
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম,পুলিশ সুপার নিশাত এ্যাঞ্জেলা। সেইসাথে হামলাকারী নিহত হওয়ার ঘটনায় গণমাধ্যম কর্মীদের ব্রিফিং করছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) বিদ্রোহ কুমার কুন্ড।