এম. আকতারুজজামান : দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের শক্ত প্রার্থী দেওয়ার কারণে আসনটি একচেটিয়া আওয়ামী লীগ অধ্যুশিত আসনে পরিচয় লাভ করলেও বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এর আগে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী প্রয়াত আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেন, বাহাউদ্দিন নাসিম কেন্দ্রীয় নেতা, আব্দুস সুবহান গোলাপ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এরাই আসনটি ধরে রেখেছিল। দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগের জুলুম নির্যাতন, এবং লুটপাটের কারণে এ আসনটি এবার হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত। । এবার বিএনপির সহ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন প্রাথমিকভাবে বাছাই পড়বে টিকে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি আশা করেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটি তিনি বিএনপিকে উপহার দিবেন। ইতিমধ্যেই তিনি গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভোটারের খোঁজে চসে বেড়াচ্ছেন।
আসনটিতে বিএনপি’র একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যায় যেমন -আলহাজ্ব আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, খন্দকার মাসুকুর রহমান, ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান পলাশ।
একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা গেলও সবশেষ তারেক রহমান ও বিএনপি’র সিদ্ধান্তকেই স্বাগত জানাবে বিএনপির সকল সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
আলহাজ্ব আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন দীর্ঘদিন দলের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলেন, গুমের শিকার হয়েছেন। রাজনৈতিক মাঠেও সব সময় ছিলেন সক্রিয়। হয়তো বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকেই মনোনয়ন দিতে পারেন। এমনটাই আশা করছেন মাদারীপুরের জনগণ।
আলহাজ্ব আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন ভোটারদের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই প্রত্যন্ত অঞ্চলে গণসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন।
যে কোন মূল্যই হোক আলহাজ্ব আনিসুর রহমান তালুকদার সমর্থন পেলে এ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি থেকে বিএনপির ঘাঁটিতে পরিণত হবে এমনটাই আশা করছেন মাদারীপুর বাসি ।