ঘুষ দুনীতি করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন সার্ভেয়ার আব্দুর রহমান!

নিজেস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুর-০২ এর জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সার্ভেয়ার মোঃ আব্দুর রহমান। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সার্ভেয়ার হিসেবে কর্মরত থাকার সুবাদে বর্তমানে মিরপুরের রুপনগর আবাসিক এলাকার ১২নং রোডের ১৮নং বাড়ির ফ্ল্যাট ৫/এ তে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। তিনি মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার চরকাটারি চরগবিন্দপুর গ্রামের শুকুর আলী মন্ডল এবং রং বাহারের সন্তান।

তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকে) একাধিক অভিযোগের খবর পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন যাবৎ জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ মিরপুর ০২ এ কর্মরত থেকে দুর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। শুধু নিজের নামেই নয় কোটি কোটি টাকার জমি, প্লট ও ফ্ল্যাট কিনেছেন স্ত্রী অফিজা সুলতানার নামে যার একাধিক প্রমান রয়েছে অনুসন্ধানী প্রতিবেদকের কাছে। স্ত্রী ছাড়াও তার শশুর বাড়ির বিভিন্ন লোকের নামে গাজীপুরে ও ঢাকার বাহিরে বিভিন্ন জায়গায় জমি কিনে রেখেছেন এই অসাধু কর্মকর্তা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমানে মোঃ আব্দুর রহমানের বসবাসরত মিরপুর রুপনগর আবাসিক এলাকার ১২নং রোডের ১৮নং বাড়ির ৫/এ ফ্ল্যাটটি তার স্ত্রী অফিজা সুলতানার নামে প্রায় ১ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছেন। মিরপুর রুপনগর আবাসিক এলাকার ৩নং রোডের আরও একটি প্লট ১০৫ জাতীয় গৃহায়ন থেকে অবৈধভাবে তার স্ত্রীর নামে ক্রয় করেছেন বলে জানা গেছে। এরপর মিরপুর রুপনগর আবাসিক এলাকার ৭নং রোডের ৯৮নং প্লটটি জাতীয় গৃহায়ন থেকে অন্য লোকের মাধ্যমে কিনে পরবর্তীতে তা নিজের স্ত্রী অফিজা সুলতানার নামে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিয়েছেন বর্তমানে সেখানে একটি ৬তলা বাড়ি নির্মান করেছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।

মিরপুর-০৬ পল্লবীর সি ব্লকের ৪নং রোডের ১৮নং প্লটটি সার্ভেয়ার মোঃ আব্দুর রহমান তার স্ত্রী অফিজা সুলতানার নামে প্রায় ২ কোটি টাকার বিনিময়ে ক্রয় করেছেন। রাজধানীর রুপনগর থানার সেকশন ৭ এর ২নং রোডের ১৩নং বাড়িটিও শেয়ারে ক্রয় করেছেন আব্দুর রহমান। এছাড়াও সাভারের বিরুলিয়া মৌজায় নিজের ও স্ত্রীর নামে ৭০ শতাংশ জমি কিনে রেখেছেন এই কর্মকর্তা। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ৩০ কোটি টাকায় ৬০ শতাংশ জমি কিনেছেন এবং নিজ জেলা মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে স্ত্রীর নামে ৫০ বিঘা জমি কিনেছেন এই অসাধু কর্মকর্তা।

দুদকের অভিযোগ সূত্রে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে অনুসন্ধানী প্রতিবেদকের হাতে। জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অবৈধভাবে ক্রয় করে রেখেছেন এবং বিভিন্ন ব্যাংকে পরিবারের সদস্যদের নামে কোটি কোটি অবৈধ টাকা রেখেছেন জাতীয় গৃহায়ন এর এই অসাধু কর্মকর্তা।

এবিষয়ে জানতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সার্ভেয়ার মোঃ আব্দুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তার স্ত্রীর নামে একাধিক প্লট ক্রয়ের কথা শিকার করেন এবং অনুসন্ধানী প্রতিবেদককে দেখা করে বিষয়টি প্রকাশ না করার কথা বলেন।

অনুসন্ধানী দল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য ও প্রমান নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করবে, বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন আগামী পর্বে। অনুসন্ধান চলবে….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *