নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ- নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় প্রায় এক মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন আমতলা গ্রামের বাসিন্দা নুরুল আমীন (নুরু)। গতকাল বিকালে কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে স¦ামীর খোঁজ পেতে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে করেন নিখোাঁজ নুরুল আমীন নুরুর স্ত্রী ডেইজি আক্তার । এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানায়ও একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
সংবাদ সন্মেলনে, ডেইজি আক্তার বলেন, সাধারণ ডায়েরি ও মামলা করার পরও পুলিশ যথাযথভাবে তদন্ত করছে না এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। নিখোঁজ নুরুল আমিনের স্ত্রী আরো বলেন, গত ১৭ মার্চ রাতে সেচ কাজ শেষে বাড়ি ফেরেন তাঁর স্বামী। রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান জরুরী কথা বলার জন্য। এর পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছে তার স্বামী।
এ ব্যাপারে নুরুর স্ত্রী ডেইজি আক্তার বাদি হয়ে কেন্দুয়া থানায় একই এলাকার আট জন রবিকুল, নিলু, ইদ্রিছ, আব্দুল জব্বার বাচ্চু, হাফিজুর রহমান, আইনউদ্দিন ও সাইদুল ইসলামের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। পূর্বের পারিবারিক বিরোধ থেকেই এ ঘটনার হতেপারে তাঁদের ধারণা। পর দিন কেন্দুয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলেও থানার রাইটার হাবিবুর রহমান ঘটনার বিবরণ উল্লেথ করেননি। পরে মামলা হলেও অভিযুক্ত আটজন আসামির একজন গ্রেপ্তার হলেও সাধারণ ডায়রির জটিলতার কারণে আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসে । মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পেমই তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক শফিউল বিবাদিদের সাথে যোগসাজস থাকায় আসামীদের তথ্য দিলেও তাদেরকে গ্রেপ্তার করেন না। আমাদের সাথে তেমন যোগাযোগ রাখেন না। আমার স্বামীকে উদ্বারের ব্যাপারে থানা পুলিশের উপর কোন ভরসা করতে পারছি না। আপনাদের মাধ্যমে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমার আবেদন আমার স্বামীকে খোঁজে বের করতে অন্য কোন সংস্থার কাছে মামলাটি হস্থান্তর করলে কৃতজ্ঞ থাকব। আসামীরা জামিনে এসে প্রকাশ্যে আমাদের হুমকি দিয়ে আসতেছে মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য। আমাদের পরিবার এখন ঝীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভোগছি। ুআমার স্বামী বেঁচে আছেন কি না জানি না। জীবিত অ থবা মৃত আমার স্বামীর সন্ধান চাই।