নেত্রকোণার আটপাড়ার শেখ মুজিব ও তার ছেলের নামে এখনো রয়েছে নাম ফলক

নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণার আটপাড়ার শেখ মুজিব ও তার ছেলের নামে বিভিন্ন প্রতিষ্টানে এখনো নাম ফলক থাকায় এলাকার মানুষের মনে ক্ষোভের শৃষ্টি হয়েছে। এ উদ্ভোদনী ফলক থাকায় প্রশাসনকেই দায়ি করছেন উপজেলাবাসী। 

গত ৫ আগষ্ট ২০২৫ সৈরাচার  আওয়ামিলীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব স্থান থেকে বঙ্গবন্ধুর মোরাল অপসারণ করা হয়। নামিয়ে ফেলা হয় বিভিন্ন প্রতিষ্টান থেকে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার ছবি। বন্ধ করে দেওয়া হয় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব। কোথাও কোন চিহ্ন নেই শেখ পরিবারের। 

আটপাড়া উপজেলার খেলার মাঠের পাশেই অবস্থিত শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়াম। এই  শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামের নাম এখনো বিদ্যমান। কে বা কাহারা শুধু শেখ লিখাটি কাঁদা দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। তারই পাশে উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরী। ৫ আগষ্টের পূর্বে তখনকার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ২২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে পাবলিক লাইব্রেরীতে শেখ মুজিব কর্নার উদ্ভোদন করেন। সেই উদ্ভোদনী ফলক এখনো অপসারণ না করায় উপজেলা বাসীর মাঝে দেখা দিয়েছে বিরুপ প্রকিক্রিয়া। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর আটপাড়া উপজেলার এক নেতা বলেন, উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা  রুয়ের সাংমা তিনি মন ইচ্ছায় সব কাজ করে যাচ্ছেন, কারো কোন কথা তিনি কর্নপাত করেন না। এর আগে এরকম ইউএনও আমাদের আটপাড়ায় কখনো আসেননি। আওয়ামিলীগ সরকারের পতনের পর এখনো কেন কিভাবে এই নাম ফলক বিদ্যমান থাকে তা শুধূ প্রশাসনেই বলতে পারবে। 

আটপাড়া উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক মাসুম চৌধুরী বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি। শেখ পরিবারের কোন নাম নিশানা এখনো থাকবে আমরা ভাবতে পারি না। বিষয়টি নিয়ে আমরা ইউএনও সাহেবের সাথে কথা বলব। 

স্থানীয়রা জানায়, আওয়ামিলীগ ও শেখ পরিবারের নাম এখনো বিভিন্ন ফলকে থাকবে সেটা মেনে নেওয়া যায়না। এখনো ফেসিবাদ সরকারের নাম নিশানা যারা লালন করছে তারা আওয়ামিলীগের দুষর। আওয়ামিলীগকে এখনো প্রতিষ্টা করার পায়তারা করছে। এ দায়ভার উপজেলা প্রশাসনকেই নিতে হবে। 

আটপাড়া পাবলিক লাইব্রেরীর লাইব্রীয়ান আবুল হাসেম খান প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে বলেন, এই পাবলিক লাইব্রেরীর বারান্দায় আগে বঙ্গুবন্ধু কর্নার ছিল। আওয়ামিলীগ সরকারের পতনের পর তা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ফলকটি না উঠিয়ে কাগজ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছ। 

আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুয়েল সাংমাকে বার বার ফোন করেও এ বিষয়ে কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *