স্টাফ রিপোর্টার : দল পাল্টে ছদ্মবেশী হয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে রাজনীতি করার প্রচলনের নানা গুঞ্জন রয়েছে।আর একটি সু-শৃঙ্খল দলের নেতৃবৃন্দের এমন কার্যক্রমকে কথিত অনুপ্রবেশমূলক রাজনিতীও বলে থাকেন সংশ্লীষ্টজন-সহ অনেকেই। কেউবা আবার এসব কার্যক্রমকে বলে থাকেন রাজনিতীর কৌশল মাত্র।এমনিই অভিযোগ উঠেছে ৩৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ওসমান গনি পলাশ এর বিরুদ্ধে।
সচেতন মহল বলছেন এমন অনুপ্রবেশের দরুন একটি সু-সংগঠিত ও সু-শৃঙ্খল দল বিশৃঙ্খলার তুঙ্গে গিয়ে দাঁড়াতে পারে। সু-শৃঙ্খল দলীয় সিদ্ধান্ত মতেও গর্হিত কাজ বলছেন সচেতন সমাজের অনেকেই। সচেতন সমাজের ধারণা মতে, গত বছরের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার প্রাণের বিনীময়ে রাজনিতীর যে আকাঙ্খার বার্তা প্রকাশ পেয়েছে, সম্প্রতি তা মলিন করতে একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতারাই দোষী বা দায়ী বলেও মনে করেন সমাজের অনেকেই। আ’লীগের সংস্পর্শে থাকা স্থানীয় নেতাদের ভিন্ন দল মতের নেতারা পুনর্বাসনে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়ার উদাহরণ সমাজে লক্ষ্য করছেন তারা। বিনীময়ে ফ্যাসিজম আখ্যা দেয়া দেশের বৃহৎ অপরাধি দল বিবেচিত আ’লীগের একাংশকে প্রশ্রয় দাতা কিংবা এক অর্থে আ’লীগকেই পূণর্বাসন বলছেন তারা।

বিভিন্ন অরাজনৈতিক দল পতিত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের দলে ভেড়ানোর উদাহরন নমুনাও এখন সমাজে ওপেন সিক্রেট একটি বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে জানান তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন,যেসব কারনে ফ্যাসিজম বা ফ্যাসিস্ট সরকার আখ্যা দিয়ে আওয়ামীলীগের পতন নিশ্চিত করেছে দেশের (ছাত্র জনতা) মানুষ তা ম্লান করতে ভিন্নমতাদর্শের রাজনৈতিক কিছু অসাধু নেতারা ব্যাক্তি ফায়দা হাসিলে দলের নীতি বহির্ভূত কাজে লিপ্ত হচ্ছেন।
যেখানে ছাত্রজনতার দাবী আ’লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সেখানে জামাতের বিভিন্ন নেতার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যানার ও পোস্ট করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করছেন পতিত আ’লীগের স্থানীয় নেতারা। অপর দিকে নানা সভা সেমিনারে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের বৃহৎ অন্যান্য দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা আ’লীগের বিরুদ্ধে অবস্থানের নানা বক্তব্য দিতে দেখা গেলেও প্রকৃত পক্ষে সে দলগুলোতেও পরবর্তীতে কিছু ভিন্ন চিত্র পরিস্ফুটিত হওয়ারও নানা উদাহরণ রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এর ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি গাজীপুর মহানগরীর ৩৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের পদ-প্রত্যাশী জনৈক ওসমান গণি-পলাশের নিজ ফেইসবুক আইডি থেকে স্থানীয় জামাত নেতার ছবি সংবলিত একাধিক ব্যানার পোস্ট করায় স্থানীয় জনমনে দেখা দিয়েছে বেশ মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
কেউকেউ বলছেন ওসমান গণি পলাশ আ’লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের ব্যানারে পদ প্রত্যাশী হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তবে পদ-পরিবর্তন পরবর্তী বর্তমানে তিনি জামাতের রাজনিতীতে বেশ সক্রিয় হবার চেষ্টায়। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, পলাশ বর্তমানে জামাতের ফরম পূরণ করে গাছা থানার স্থানীয় জামাত নেতার আশ্রয়ে জামাতের রাজনিতীতে পরিচিতির তোরজোড় চেষ্টায় নিয়োজিত। কারো মতে রাজনৈতিক মামলা এড়াতেই তিনি এমন কৌশলী হয়ে জামাতের রাজনিতীতে সরব হওয়ার জানান দিচ্ছেন।
তিনি স্থানীয় গাছা থানা জামাতের এক নেতার (মিয়াজ উদ্দিন মাস্টার) ছবি সংবলিত একাধিক ব্যানার নিজ ফেইসবুক আইডিতে প্রকাশ করেছেন ইতোমধ্যে। যার ফলে নীতিজনদের মাঝেও বইছে বেশ মিশ্র প্রতিক্রিয়ার ঝড়।
তবে এ বিষয়ে ৩৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ওসমান গনি পলাশ এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমি এক সময় রাজনীতি করেছি এবং যুবলীগের প্রার্থী ছিলাম এখন আমি রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছি নামাজ রোজা করি আপনার কি ক্ষতি করেছি আপনি কোথায় আছেন সামনে আসেন সামনাসামনি কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন।
অপর দিকে জামাতি ইসলাম এর আমির মিয়াজ উদ্দিন মাস্টারকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে,ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে এবিষয়ে গাজীপুর দক্ষিণ এর ডিসি ক্রাইম এম এম নাছির উদ্দিন এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি ওসমান গনি পলাশ এর বিষয়ে জানিনা তার কি পদপদবি ছিল তার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।