ধামরাই বিএন’পি নেতা আবুল কাশেমকে কুপিয়ে হত্যা

রোমান হোসেন, সাভার, ধামরাই : ঢাকার ধামরাইয়ে মাটির ব্যবসাকে কেন্দ্র করে  ধামরাই বিএনপি নেতা আবুল কাশেমকে (৫৫) বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরিবারের অভিযোগ হত্যার পিছনে বিএনপির অপর একটি গ্রুপ ও আওয়ামীলীগের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ই মার্চ) সকালে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা এলাকায় এঘটনা ঘটে।পরে তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহত আবুল কাশেম ওই এলাকার রহিজ উদ্দিন মাস্টারের ছেলে।  সে ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি।

পরিবারের সদস্যরা জানান, সকালে অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে মানিকগঞ্জে একটি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। বাড়ি থেকে বের হতে স্থানীয় বিএনপির ও আওয়ামীলীগের কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরে। চাপাতি, ধা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সে মারা যায়।

নিহত আবুল কাশেমের ছেলে কামরুল ইসলাম বলেন, বাবার সাথে অনেক দিন ধরে মাটি ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলছে। গত কয়েক মাসে অনেক বার হুমকি দিয়েছে। একবার মারধর করে স্থানীয় আওয়ামীলীগের ৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি আবু সাইদ। আজকে ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদের লোক উপজেলা কৃষক দলের সহ সভাপতি জলিল, আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড সভাপতি আবু সাইদ, স্থানীয় বিএনপি নেতা বাছেদসহ কয়েকজন মারার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে বাসার সামনে অপেক্ষা করছিল। সকালে এক আত্মীয়কে দেখার জন্য বের হলে কুপিয়ে আহত করে।

আবুল কাশেমের স্ত্রী শাহেদা আক্তার বলেন, বাসা থেকে ঘটনাস্থল বেশি দূরে নয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তারা হামলা করেছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে হামলাকারী কয়েকজনের নাম বলেন। তার মধ্যে জলিল , বাছেদ,  বিল্টু,  আলী , আহাদ, গফুর , মালেক। তারা বিএনপি ও আওয়ামীলীগের রাজনীতিক দলের সাথে জড়িত।তিনি আরও বলেন,  মূলত মাটি ব্যবসা নিয়ে তাদের সাথে দ্বন্দ্ব। তারা এর আগেও বাড়িতে হামলা করেছিল।

সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মেরাজুন রেহান পাভেল বলেন, তার ডান পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে। সম্ভবত অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে তার মৃত্যু হয়েছে।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, আশেপাশে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *