এস.এম জাহিদ হোসাইন : আজ ১৭-ই – মার্চ – ২০২৫ ইং রোজ সোমবার সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে ঢাকা ময়মনসিংহ হাইওয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস লিমিটেড এর একজন শ্রমিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় নিহত শ্রমিক উপর-উল্লেখিত গার্মেন্টসের স্থায়ী শ্রমিক তার নাম সাবিনা আক্তার উক্ত কোম্পানির তৃতীয় তলায় হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন বয়স আনুমানিক ২০/২১ বছর। সাবিনা আক্তার প্রতিদিনের ন্যায় আজও তিনি পবিত্র মাহে রমজানের ইফতার শেষ করেন তার কর্মস্থলে অতিরিক্ত ডিউটি থাকায় উক্ত কোম্পানির উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। কিন্তু উক্ত কর্মস্থলে পৌঁছানো তার পক্ষে আর সম্ভব হয়নি। হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় মহান আল্লাহ পাকের ডাকে সাড়া দিয়ে এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে সবাইকে ছেড়ে চলে যান পরোপারে।
উক্ত শ্রমিকের মৃত্যুর খবর নিমিষেই ছড়িয়ে পড়লে তার সহকর্মী অন্যান্য শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে মৃত ব্যক্তির ক্ষতিপূরণের দাবিতে এবং রমজান মাসে ইফতারের পরে ডিউটি না রাখার জন্য ঢাকা ময়মনসিংহ হাইওয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। এবং বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করেন। উক্ত ঘটনার খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ ও সালনা হাইওয়ে পুলিশ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের পূর্ণাঙ্গ টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ততক্ষণে ঢাকা ময়মনসিংহ হাইওয়ে রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনের জন্য পুলিশ শ্রমিকদের রাস্তা ছেড়ে দিতে বলেন এ নিয়ে উক্ত গার্মেন্টসের শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে কথার কাঁটাকাটি চলে ঠিক সেই মুহূর্তে কিছু আওয়ামী পন্থী গুন্ডা বাহিনী শ্রমিকদের সাথে মিশে সাংবাদিক ও পুলিশের উপরে হামলা করেন।
তখন জাতীয় ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি গাজীপুর মহানগর শাখার সহ-সভাপতি ও দৈনিক ডাক বেলা পত্রিকার সহ-সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন (সাগর) ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের বৈরাগত সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে অতর্কিত হামলা চালায় যার ফলশ্রুতিতে তার একটি হাতে প্রচন্ড চোট লাগে এবং অনেকটা কেটে যায়। সন্ত্রাসীরা জয়দেবপুর থানার ওসি, মোঃ আব্দুল হালিম’কে টার্গেট করে ইট নিক্ষেপ করলে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বেশ কয়েকটি আঘাত হানে, একটি ইট সরাসরি জয়দেবপুর থানা ওসির মাথা বরাবর ছুটে আসে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সাংবাদিক মোঃ ইসমাইল হোসেন (সাগর) তাকে উক্ত স্থান থেকে নিরাপদ স্থানে নেওয়ার জন্য জন্য অগ্রসর হলে উক্ত ইটটি তার হাতে লাগে এবং অনেকটা কেটে যায়। প্রচন্ড রক্তক্ষরণের কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন সাংবাদিক মোঃ ইসমাইল হোসেন (সাগর)’কে দি অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন। সেখানে তার হাতের ক্ষত জায়গায় দুটি সেলাই করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কিছু ওষুধ লিখে দেন এবং তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বলা হয়। পাশাপাশি আরোও বেশ কিছু পুলিশ সদস্য ও অসাধারণ মানুষ আহত হন।জাতীয় ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি গাজীপুর মহানগর শাখার পক্ষ থেকে এ ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান, উক্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহিদ হোসাইন তিনি বলেন, এই সন্ত্রাসী যারাই হোক তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে খুব দ্রুতই এই হামলার যথাযথ বিচারের দাবি করেন।
উক্ত ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে যথেষ্ট সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন জয়দেবপুর থানার ওসি মোঃ আব্দুল হালিম সাথে ছিলেন তার পূর্ণাঙ্গ টিম সহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওসি ও তার টিম এবং সালনা হাইওয়ে ওসি আবু সালেহ আহম্মেদ, এছাড়া আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও কাজ করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টিম। উল্লেখ থাকে যে, উক্ত স্থানে গত ১২ মার্চ ২০২৫ তারিখে একই ফ্যাক্টরির আরো একজন শ্রমিক মারা যান। তাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সকল নাগরিকদের প্রতি আস্থা রেখে যে কোন রাস্তা পারাপারের সময় সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান এবং উক্ত কোম্পানির মালিক কে মৃত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ সহ নিজস্ব অর্থায়নে ফুট ওভারব্রিজ তৈরি করার তৈরি করে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। সর্বোপরি দেশের এই অন্তিম মুহূর্তে সর্ব-সাধারণকে প্রশাসনের সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানান। এদেশ আমার এবং আমরা দেশের তাই দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বক্তব্যের পরে প্রশাসনের উপর আস্থা রেখে দ্রুতই ন্যায়-বিচারের দাবি জানান ও কোম্পানির মালিক কর্তৃক মৃত ব্যক্তির ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতির পর সাধারণ শ্রমিকেরা ঢাকা ময়মনসিংহ সড়ক ছেড়ে দিলে প্রশাসন উক্ত ব্যস্ত সড়কটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেন।