শিক্ষাবোর্ডের সাথে নামধারী বিএনপি নেতা ফুলুর আঁতাতে সালমা কে সভাপতি করার অভিযোগ..

স্টাফ রিপোর্টারঃ এলাকারবাসীর দাবি ছিল ভাই-বোন কে সভাপতি মনোনয়ন না দিয়ে অপরজনকে সভাপতি মনোনয়ন দেওয়ার জন্য। এরকম একটি অভিযোগ বিভাগীয় কমিশনার ঢাকা’র বরাবর প্রেরণ করেন দক্ষিণ খান এলাকাবাসীর পক্ষে মো: জহিরুল ইসলাম (রনি) সাংবাদিক সময় টিভি, উত্তরা, ঢাকা। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদক অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। স্থানীয় নামধারী বিএনপি নেতা ফুলু এবং স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবনী, সালমাকে স্কুলের এডহক কমিটির সভাপতি করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সাথে আঁতাত করে বেশকিছু টাকা ছড়াছড়ি করে গোপনীয়ভাবে জনৈক সালমাকে সভাপতি করা হয়। এ বিষয় নিয়ে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সাথে সংবাদের প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি জানান, আমি বিষয়টি জানতাম না, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিতাম।

রাজধানী উত্তরার নিকটবর্তী দক্ষিণখানের ঐহিত্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দক্ষিণখান আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবনী’র বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, অতিরিক্ত টাকা আদায়, সেচ্ছাচারিতা, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। তাকে প্রভাবিত করে বিএনপির রাজনৈতিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দক্ষিণখান থানা কমিটির আহ্বায়ক সদস্য মোঃ ফুলু ইসলাম সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে আঁতাত করে নিজের আপন বোন সালমা সুলতানাকে এডহক কমিটির সভাপতি করেছে।

ঢাকা জেলার দক্ষিণ খান থানায় অবস্থিত “দক্ষিণখান আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত এডহক কমিটির সভাপতি মনোনয়নের জন্য প্রেরিত সালমা সুলতানা ও আব্দুল মাজেদ দুই জনই ভাই-বোন। এলাকায় এত শিক্ষিত লোক থাকার পর কেন ভাই-বোনের নাম প্রস্তাব পাঠাইতে হবে। তাহাতে এলাকার সাধারণ মানুষ-ক্ষোভ প্রকাশ করিতেছে। জানা যায় প্রতিষ্ঠান প্রধান ইচ্ছে করে এমন কমিটি করতেছেন তাহার অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাধের কাজগুলি বাগিয়ে নেওয়ার জন্য ভাই-বোন দুই জনের নাম প্রস্তাব করেন। তৎকালীন সরকারের ক্ষমতাধর জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় ফুলু এবং তার বোন নির্বিঘ্নে নিজের অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য নাম না জানাতে ইচ্ছুক প্রধান শিক্ষিকা ও কমিটির কিছুকিছু লোকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, তারা এই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক সহ সিন্ডিকেট করে নানা অনিয়ম দুর্নীতি শুরু করেন। বর্তমান সময়ে তারই মনোনীত লোক এডহক কমিটির সভাপতি করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। আরও অনুসন্ধানে জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কর্তৃক ভাই-বোনের বড় ভাই এবং এলাকার কথিত বিএনপি’র নামধারী লিডার ফুলু ইসলাম ফুলু এদেরকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে, যার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পত্রিকায় দক্ষিণখানের ফুলু ইসলাম ফুলুর লুটতরাজ, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও মামলা বাণিজ্য থামছেই না শীর্ষক সংবাদগুলো ইতিমধ্যেই সবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। জানা যায় সে নিজেই স্কুল কমিটিতে আসতে চেয়েছিলো, কিন্তু তার সার্টিফিকেটের জোড় কম থাকায় নিজের দুই-ভাই বোনকে কমিটিতে আনার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে ব্যাবহার করেছে এবং স্কুলে তার অবৈধ প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে আসছে। গত ৩০ শে জানুয়ারী স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ফুলু বঙ্গবন্ধুর গান বাজিয়ে প্রমাণ করেছে তিনি আওয়ামী লীগের লেবাসধারী লোক। বিষয়টি সাংবাদিকরা যেন সংবাদ করতে না পারে এজন্য জনৈক শিক্ষক সাঈদের মাধ্যমে ম্যানেজ করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়ার জন্য ফুলুর মোবাইলে এবং সরজমিনে সাক্ষাতের চেষ্টা করলেও তাকে কখনও পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে সাংবাদিকরাই স্কুলে গিয়েছে, পূর্বে সবার সাথেই সে খারাপ ব্যাবহার করেছে। এ বিষয়ে ঢাকা বিভাগের মান্যবর বিভাগীয় কমিশনার মো: সাবিরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসে নাই। আসলে যথাযথ ব্যবস্থা নিবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com