শাহবাগে ধর্ষণের বিচার দাবি ৩০ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :কর্মসূচিতে নটরডেম কলেজ, ঢাকা কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শেখ বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজসহ মোট ৩০টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।দেশজুড়ে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন রাজধানীর ৩০ কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন।

জাতীয় জাদুঘরের সামনে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে তারা অবস্থান নিয়ে তাদের প্রতিবাদ জানান।অবস্থান কর্মসূচিতে তারা ‌‘তুমি কে, আমি কে, আছিয়া আছিয়া’ স্লোগান সহ ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

বেলা সোয়া একটার দিকে তারা কয়েক মিনিটের জন্য শাহবাগ মোড় অবরোধ করলেও শিক্ষার্থীদেরই অন্য একটি অংশের অনুরোধ এবং পুলিশের অনুরোধে তারা ফের জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীদের ৬ দাবি

এ কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা ছয়টি দাবি জানিয়েছেন।

১. ধর্ষণকারীর শাস্তি জনসমক্ষে প্রকাশ্যে নিশ্চিত করতে হবে।

২. ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের জিরো টলারেন্স নীতি থাকতে হবে।

৩. কোথাও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার, মেডিক্যাল রিপোর্ট, ভিকটিমের জবানবন্দি এবং সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্যে ধর্ষণকারীর ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে।

৪. কোনো ধর্ষণের বিচার-সালিশ করে সমাধান করা যাবে না। এর বিচার নিশ্চিত করবে শুধুই রাষ্ট্র।

৫. এখন পর্যন্ত চলমান সব ধর্ষণের বিচার আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জবাবদিহি করবে।

৬. গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে ধর্ষণের শিকারদের বিচার বঞ্চিত করা যাবে না।

কর্মসূচিতে নটরডেম কলেজ, ঢাকা কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শেখ বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজসহ মোট ৩০টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী তাহমিনা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার ফলে দেশে নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে। বর্তমানে নারীরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের সম্মানও হুমকির মুখে। ‘নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় শাসকদের ক্ষমতা ছাড়তে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *