কোটা আন্দোলনের সর্বশেষ খবর: ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি: কোটা সংস্কার আন্দোলন ২০২৪ সালে বাংলাদেশে নতুন করে শুরু হয়েছে এবং বর্তমানে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস রূপ ধারণ করেছে। এই আন্দোলন মূলত সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয়। চলমান এই আন্দোলনের কয়েকটি প্রধান ঘটনাপ্রবাহ ও তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো।

আন্দোলনের পটভূমি
২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে। চলতি বছরের ৫ জুন হাইকোর্ট এই বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে। আদালতের এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার একটি রিট আবেদন করে এবং এই বিষয়ে চূড়ান্ত রায় প্রদানের অপেক্ষায় রয়েছে।

আন্দোলনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি
শাহবাগে কয়েকশো ছাত্রছাত্রী পুনর্বহাল হওয়া কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে এবং যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত করে। বিক্ষোভকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে এসে শাহবাগ চত্বরে অবস্থান নেয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীরা তাদের দাবিতে অনড় থাকে। এছাড়াও, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববি​দ্যালয়ে (The Daily Star)​​ সড়ক অবরোধ করে, যার ফলে বিশাল যানজট সৃষ্টি হয়।

সহিংস সংঘর্ষ
১৬ জুলাই, ২০২৪ তারিখে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সহিংস সংঘর্ষে অন্তত ছয় জন নিহত হয়েছেন। ঢাকায় দুইজন, চট্টগ্রামে তিনজন এবং রংপুরে একজন প্রাণ হারান। এসব সহিংসতায় ছাত্রলীগের কর্মী এবং পুলিশদের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ ঘটে। ঢাকার সিটি কলেজ এলাকায় একজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার পর হাসপাতালে মারা যান। এছাড়াও, চট্টগ্রামের এমইএস কলেজের এক ছাত্রসহ তিনজন নিহত হয়েছেন এবং রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের একজন শিক্ষার্থী পুলিশি সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন।

সরকার ও বিচার বিভাগের প্রতিক্রিয়া
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন যে, সরকার কোর্টের সিদ্ধান্তের আগে কোটা​ (The Daily Star)​নো সিদ্ধান্ত নেবে না। তাছাড়া, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ছাত্রদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

কোটা আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে গভীর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং আদালতের রায় পরিস্থিতির উন্নয়নে কী প্রভাব ফেলবে তা এখন দেখার বিষয়।​ (The Daily Star)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *