মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ইংরেজি ঘোষণার আদেশ দিলেন ট্রাম্প

চ্যানেল7বিডি ডেক্স: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। শনিবার এক নির্বাহী আদেশে তিনি বলেন, এটি অভিবাসীদের দেশ হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রে সংহতি আনবে। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

নির্বাহী আদেশের মূল বক্তব্য
হোয়াইট হাউস প্রকাশিত আদেশে বলা হয়েছে—
ইংরেজি বহু আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ভাষা।
একটি অভিন্ন ভাষা জাতীয় সংহতি ও দক্ষ প্রশাসনের জন্য অপরিহার্য।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা ইংরেজির মাধ্যমে জাতীয় মূল্যবোধকে শক্তিশালী করবে।

ক্লিনটনের নীতি বাতিল
ট্রাম্পের এই আদেশ ১৯৯০-এর দশকে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের দেওয়া এক নির্দেশ বাতিল করেছে। ক্লিনটনের নির্দেশে ফেডারেল সংস্থাগুলোকে অ-ইংরেজি ভাষাভাষীদের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশনা ছিল।

নতুন আদেশ অনুযায়ী—
ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় সহায়তার পরিমাণ সংস্থাগুলোর ওপর নির্ভর করবে।
সরকারি সেবার ক্ষেত্রে কোনো মৌলিক পরিবর্তন আনা হবে না।
সংস্থাগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনায় স্বাধীনতা পাবে।

ট্রাম্পের ডানপন্থী নীতির প্রতিফলন
ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই ট্রাম্প একাধিক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন, যা তার ডানপন্থী নীতির প্রতিফলন। তার অনেক সিদ্ধান্তই আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাষাগত বাস্তবতা
দেশটিতে ৩৫০টিরও বেশি ভাষায় কথা বলা হয়।
৬.৮ কোটি মানুষ বাড়িতে ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষা ব্যবহার করে।
প্রায় ৪ কোটির বেশি মানুষ স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলে।
চীনা, ভিয়েতনামীসহ অন্যান্য অভিবাসী গোষ্ঠীর ভাষার পাশাপাশি দেশীয় আমেরিকান ভাষাগুলোরও প্রচলন রয়েছে।

হোয়াইট হাউস বলছে, ইংরেজি যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক ভাষা এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও সংবিধানসহ গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় নথিপত্র ইংরেজিতে রচিত। তবে সমালোচকরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত দেশের ভাষাগত বৈচিত্র্য ও বহুজাতিক সমাজের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে।

তথ্যসূত্র: বাসস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *