চ্যানেল7বিডি ডেক্স: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ও অধিকার সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন দুই নেতা।
মার্কিন সমর্থন নিশ্চিত করতে জেলেনস্কির প্রচেষ্টা
ট্রাম্পের সাম্প্রতিক রাশিয়াপন্থী অবস্থানের পরও কিয়েভ যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ধরে রাখতে সক্রিয় রয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের তৃতীয় বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে এই চুক্তি দুই দেশের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
ওয়াশিংটন সূত্রে জানা গেছে, ট্রাম্প সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কিয়েভকে বাদ দিয়ে যুদ্ধ অবসানের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তবে ইউক্রেন এখনো পশ্চিমা সমর্থন নিশ্চিত করতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ট্রাম্পের অবস্থান বদল?
মাত্র এক সপ্তাহ আগেই ট্রাম্প জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরশাসক’ বলে সমালোচনা করেছিলেন। এমনকি ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের জন্য কিয়েভকেই দায়ী করেছিলেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কাইর স্টারমারের সফরের পর ট্রাম্পের সুর কিছুটা নরম হতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, জেলেনস্কির প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা আছে। আমরা খুব ভালোভাবে একসঙ্গে কাজ করবো।
চুক্তির গুরুত্ব
বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত হলে দেশটির প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে। এই চুক্তির মাধ্যমে ওয়াশিংটন ও কিয়েভের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে, যা যুদ্ধকালীন সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তথ্যসূত্র: বাসস