চ্যানেল7বিডি ডেক্স: আসন্ন জাতীয় নির্বাচন গণঅভ্যুত্থানের চেতনার ভিত্তিতে ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা ও স্বচ্ছ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
তিনি বলেন, নির্বাচনে যদি কোনো দল ৩০০টি আসনও পায় এবং অন্যরা কিছু না পায়, তাতেও আপত্তি নেই। কিন্তু এই নির্বাচন অবশ্যই জনগণের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় হতে হবে।
আজ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ ক্যাম্পেইনে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচনের নিরপেক্ষতা
সারজিস আলম বলেন,
যদি অন্তর্বর্তী সরকার মনে করে ডিসেম্বর, জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময়, তাহলে আমরা দ্বিমত করবো না। তবে যদি কেউ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে চায়, তাহলে জনগণ তার পাল্টা জবাব দেবে।
ছাত্র আন্দোলন ও ক্ষমতা পরিবর্তনের ইঙ্গিত
তিনি বলেন,
ছাত্র-জনতার লড়াইয়ে খুনি হাসিনা ভয়ে পালিয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা শুধু নিজেকে আর তার পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে, অথচ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের টিস্যুর মতো ব্যবহার করে ছেড়ে গেছে। তাদের এটা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন,
আগামী বাংলাদেশে কাদের পেছনে দাঁড়ানো উচিত, সেটা জনগণকে এখনই বুঝতে হবে। রাজনৈতিক লড়াইয়ে ছাত্রদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ছাত্রদের ভূমিকা ও নতুন রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা
নির্বাচনে ছাত্রদের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
আমরা ক্ষমতামুখী নই। যদি তা-ই হত, তাহলে ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা নিজেরাই সরকার গঠন করতাম। কিন্তু আমরা জনগণের পক্ষে কাজ করেছি এবং সব রাজনৈতিক দলের প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
তিনি আরও বলেন,
ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনের সব অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় করেই নতুন রাজনৈতিক শক্তি গড়ে উঠছে। এটি সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
নতুন নেতৃত্ব ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি
সংলাপে বক্তারা বলেন, আসন্ন নির্বাচনে সততা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জনসেবার মানসিকতা সম্পন্ন নেতৃত্ব প্রয়োজন। গণতান্ত্রিক চেতনার ভিত্তিতে একটি নতুন রাজনৈতিক শক্তির আবির্ভাব হবে, যা ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের স্বার্থ রক্ষা করবে।
তথ্যসূত্র: বাসস