চ্যানেল7বিডি ডেক্স: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এক মুহূর্তে থামাতে পারে সৌদি আরব। তেলের দাম কমানোর মাধ্যমে সৌদি আরবসহ অন্যান্য তেল রপ্তানিকারী দেশগুলো যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তেলের দামই মূল কারণ: ট্রাম্পের দাবি
ট্রাম্প বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বিশেষ করে সৌদি আরবের উচিত তেলের দাম কমিয়ে দেওয়া। তাঁর মতে, তেলের দাম কমানো হলে যুদ্ধ তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ হবে। তিনি আরও বলেন, এতদিন ধরে তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত না হওয়ায় তিনি বিস্মিত।
আল জাজিরার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় ট্রাম্প ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন।
ট্রাম্পের বার্তা সৌদি আরব ও ওপেকের প্রতি
ওপেক এবং সৌদি আরবের প্রতি কড়া বার্তা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “তেলের দাম কমান। এটি এখনই করতে হবে। তেলের দাম না কমানোর ফলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। যুদ্ধের জন্য পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলো অনেকাংশে দায়ী।”
যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের পরিকল্পনা
ট্রাম্প আরও জানান, তেলের দাম কমানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনি সুদের হার কমানোর পরামর্শ দেবেন। তাঁর মতে, খনিজ তেলের উচ্চমূল্য রাশিয়ার যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার একটি বড় কারণ।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পর থেকেই এ নিয়ে কথা বলে আসছেন ট্রাম্প। ক্ষমতার বাইরে থাকা অবস্থায় তিনি বারবার বলেছিলেন, ক্ষমতায় থাকলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই যুদ্ধ থামিয়ে দিতেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি আবারও সংঘাত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই আলোচনার মধ্য দিয়ে যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি দাবি করেন।
ইউক্রেন যুদ্ধের মানবিক সংকট
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করেন। প্রায় তিন বছর ধরে চলা এই সংঘাতে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি আরব ও ওপেক নিয়ে দেওয়া বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যুদ্ধ বন্ধে সৌদি আরবের ভূমিকা এবং তেলের দাম কমানোর প্রভাব নিয়ে এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে।
তথ্যসূত্র: বাসস