চ্যানেল7বিডি ডেক্স: দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরেই কার্যক্রম শুরু করেছেন। ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের দিনই বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন, যা নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব প্রোগ্রাম বাতিল
ক্ষমতা গ্রহণের দিনই ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব প্রদান প্রোগ্রাম বাতিল করেন। এর ফলে অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানরা আর মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না। এমনকি নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরতদের সন্তানরাও নাগরিকত্বের আওতায় পড়বে না।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মানবাধিকার সংগঠনগুলো উচ্চ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সিদ্ধান্তটি কার্যকর হলে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন নিয়ম চালু হবে।
ক্যাপিটল হামলাকারীদের ক্ষমা প্রদান
২০২১ সালের জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে হামলার সঙ্গে জড়িতদের ক্ষমা প্রদান করেছেন ট্রাম্প। তাঁর এই পদক্ষেপ ইতোমধ্যে ব্যাপক সমালোচনা এবং বিতর্ক তৈরি করেছে।
ডব্লিউএইচও ও প্যারিস চুক্তি থেকে সরে যাওয়া
নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক অবস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং ভবিষ্যৎ মহামারির প্রস্তুতি আরও দুর্বল হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের বরখাস্তের ঘোষণা
শপথের দিনই ট্রাম্প চারজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন এবং ১ হাজারেরও বেশি ফেডারেল কর্মকর্তাকে বরখাস্তের হুমকি দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকাকে আবার মহান করতে হলে অদক্ষ ও দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তাদের অপসারণ জরুরি।”
বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত
নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করার নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। যদিও এই সিদ্ধান্ত মার্কিন তহবিলে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
টাইমস স্কয়ারে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদযাপন
ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফেরার আনন্দে নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে প্রবাসী বাংলাদেশিরা একটি সমাবেশ আয়োজন করেন। “অবতার ট্রাম্প” ব্যানার হাতে তাঁরা ট্রাম্পের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়সহ কমিউনিটির নেতারা বক্তব্য দেন।
এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে তাঁর দাপুটে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তবে, এর প্রভাব কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে, তা নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ।