চ্যানেল7বিডি ডেক্স: ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) গত নভেম্বরে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট প্রত্যাহার করেছে, যেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা হয়েছিল। রিপোর্টটি প্রকাশের পর অভিযোগ ওঠে, এটি ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট এবং তাতে তথ্যগত ত্রুটি রয়েছে।
ব্রিটিশ এমপিদের অবস্থান
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লেবার দলের এমপি রূপা হক হাউস অব কমন্সে রিপোর্টের ত্রুটি তুলে ধরেন। এরপর ব্রিটিশ এমপিরা রিপোর্ট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে এটি পর্যালোচনাধীন এবং আর প্রচার করা হবে না বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
রিপোর্টে কী ছিল?
‘দ্য অনগোয়িং সিচুয়েশন ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের এই রিপোর্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিযুক্ত করা হয়। এতে দাবি করা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর নৃশংসতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের হত্যা করা হয়েছে।
তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে ছাত্র আন্দোলন দমনেই অধিকাংশ প্রাণহানি ঘটেছিল।
ইউনূস প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এপিপিজির রিপোর্টে বলা হয়, ড. ইউনূস প্রশাসন আইনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে এবং কট্টরপন্থীদের ক্ষমতায়ন করছে। এতে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ১ লাখ ৯৪ হাজার মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা এসব দাবিকে ত্রুটিপূর্ণ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে অভিহিত করেছেন।
সমালোচনা ও প্রত্যাহার
লন্ডনের স্কুল অব অরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের অধ্যাপক নাওমি হোসেন রিপোর্টটিকে “মৌলিকভাবে ত্রুটিপূর্ণ” বলে উল্লেখ করেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটি শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করেছে।
এপিপিজির মুখপাত্র জানান, তারা ভবিষ্যতে দেশভিত্তিক রিপোর্ট প্রকাশ না করে কমনওয়েলথ অব নেশন্সের কার্যক্রমে মনোযোগী হবে।