চ্যানেল7বিডি ডেক্স: ভারতে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশের অভিযোগে ত্রিপুরা রাজ্যে গত তিন বছরে ২,৮১৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই গ্রেপ্তার কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। সম্প্রতি ত্রিপুরা বিধানসভায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
পরিসংখ্যান
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে এক হাজার ৭৪৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বাকি এক হাজার ৬৯ জনের মধ্যে ৫৮৫ জন জামিনে মুক্ত আছেন। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৪৭৪ জন ভারতীয় নাগরিকও রয়েছেন, যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ।
সীমান্ত সুরক্ষা ও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশনা
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা গত বছর সীমান্ত সুরক্ষা বিষয়ক এক বৈঠকে বিএসএফ, সিআরপিএফ, আসাম রাইফেলস, রাজ্য পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বৈঠকে সীমান্ত সুরক্ষার কঠোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন।
সীমান্ত পরিস্থিতি
ত্রিপুরা রাজ্যটি উত্তর, দক্ষিণ এবং পশ্চিম দিক থেকে বাংলাদেশ দ্বারা বেষ্টিত। রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ৮৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে, যা ত্রিপুরার মোট সীমান্তের প্রায় ৮৪ শতাংশ। এই দীর্ঘ সীমান্তের ফলে অনুপ্রবেশ ঠেকানো রাজ্যের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
সাম্প্রতিক গ্রেপ্তার
সম্প্রতি ত্রিপুরার সীমান্ত এলাকা থেকে বাংলাদেশি নাগরিক এবং রোহিঙ্গাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বলছে, সীমান্তের কঠোর নজরদারির মাধ্যমে এ ধরনের কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এই প্রতিবেদন থেকে বোঝা যায়, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং অনুপ্রবেশ রোধে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তবে এ ধরনের কর্মকাণ্ড কীভাবে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তা এখনো একটি বড় প্রশ্ন।