ভারতে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে নয়াদিল্লি

অনলাইন ডেক্স: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত। দেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবির মধ্যে এ খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়েন এবং ভারতে আশ্রয় নেন। সম্প্রতি তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হলেও, নির্দিষ্ট তারিখ প্রকাশ করা হয়নি।

দিল্লির ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) তার ভারতে থাকার অনুমতি আরও বাড়িয়েছে। তবে কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানাননি এবং পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি তার সুবিধার্থেই করা হয়েছে। তবে তাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এমন গুজব অস্বীকার করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ভারতে আশ্রয় সংক্রান্ত কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে এবং স্থানীয় এফআরআরও অফিসের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে জানায়, আবেদন পাওয়ার পর শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়। এর আগেও একই প্রক্রিয়ায় তাকে ভারতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে, মাত্র একদিন আগে শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশ। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ফলে তার ভারতে অবস্থান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

এছাড়া গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াও চলছে।

৭৭ বছর বয়সী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ভারতের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে পৌঁছান এবং বর্তমানে দিল্লির একটি নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছেন। ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাকে দেশে ফেরাতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনানুষ্ঠানিক চিঠি পাঠায়।

ভারত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অনুরোধ গ্রহণের কথা নিশ্চিত করলেও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। অতীতে ভারত জানিয়েছিল, শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তার ব্যক্তিগত বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *