কক্সবাজারের পেকুয়ায় মাহফিলে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানালেন মিজানুর রহমান আজহারী

অনলাইন ডেক্স: দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট ইসলামী আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি বলেন, “দেশের অনৈক্যই সব নৈরাজ্যের মূল কারণ। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে পারলেই দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত হবে।”

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা সদরে মরহুম মাওলানা শহীদ উল্লাহ স্মৃতি সংসদ ও সমাজ উন্নয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে ড. মিজানুর রহমান আজহারী এসব কথা বলেন।

জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা
ড. আজহারী বলেন, “গত ৫০ বছরে দেশের অগ্রগতির পথে বড় বাধা ছিল অনৈক্য। সাম্প্রতিক সময়ে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যে জাতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য এখন আমাদের সবার উচিত জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা।”

ভার্চুয়াল সংযুক্তি
মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে দেশ ও জনগণের সেবায় কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

বিশাল জনসমাগম
পেকুয়া তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। মাহফিলের প্রথম অধিবেশন পরিচালনা করেন অধ্যক্ষ মাওলানা বদিউল আলম। আলোচনায় অংশ নেন শায়খ মুফতি ইব্রাহিম, মাওলানা আবদুল্লাহ আল আমীন, মাওলানা আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ ও কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী।

দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী। আলোচনায় অংশ নেন হাফেজ মুফতি আমীর হামজা, মাওলানা সাদিকুল রহমান আজহারী, শায়খ সালাহ উদ্দিন মাক্কী প্রমুখ।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা

পেকুয়া সমাজ উন্নয়ন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা নিয়ামত উল্লাহ নিজামী জানান, মাহফিলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সিসিটিভি ক্যামেরা, জেনারেটর লাইট, স্বেচ্ছাসেবক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতায় মাহফিল শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, ড. মিজানুর রহমান আজহারী বিকেলে হেলিকপ্টারে করে পেকুয়ায় পৌঁছান। সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ, র‍্যাব ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করে।

পেকুয়ার এই মাহফিল ধর্মপ্রাণ মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় এবং জাতীয় ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দেয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।