অনলাইন ডেক্স: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ সকল নাগরিককে দেশের শান্তি, কল্যাণ ও উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বড়দিন উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং মানবতার কল্যাণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান করেন।
শুভেচ্ছা বিনিময় ও শুভেচ্ছা বার্তা:
মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, যিশুখ্রিষ্টের জীবনাচরণ ও আত্মত্যাগ মানবতার জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, যেখানে সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে। সকলের ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে এবং বড়দিন দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে আরও দৃঢ় করবে।
শুভেচ্ছা বিনিময় সভা:
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন:
ক্যাথলিক আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ
বিশপ ফিলীপ পি অধিকারী
নির্মল রোজারিও (প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন)
ইগ্লাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া (মহাসচিব, বাংলাদেশ ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন)
ড্যানিয়েল নির্মল ডি’ কস্তা (প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ খ্রিস্টান মহাজোট)
ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও উদারতা বজায় রাখতে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বড়দিন উপলক্ষে অনুদান:
অন্তর্বর্তী সরকার বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে আড়াই কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। নেতৃবৃন্দ জানান, এই অর্থ দেশের বিভিন্ন চার্চে বণ্টন করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার বার্তা:
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা সবাই এক পরিবার। ধর্মীয় সংহতি চাই, বিভেদ নয়। মানুষ হিসেবে আমাদের পরিচয়ই সবচেয়ে বড়।” তিনি আরও বলেন, “শান্তি ও সম্প্রীতির বাণী ধারণ করলেই জাতিগত বিভেদ দূর হবে এবং সমাজে ঐক্য প্রতিষ্ঠা হবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন:
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল
শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান