অনলাইন ডেক্স: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের আগেই ভোটার তালিকা, সীমানা পুনঃনির্ধারণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন সম্পন্ন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
নির্বাচনে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে কাজ করবে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি:
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ২১ নভেম্বর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। বিতর্কিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাত মাস পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।
বর্তমানে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। কর্মকর্তাদের আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে কাজ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ভোটার তালিকা ও সীমানা পুনঃনির্ধারণ:
ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ ও সীমানা পুনঃনির্ধারণে কাজ শুরু হয়েছে। তবে ভুয়া ভোটার অন্তর্ভুক্তি, নতুন ভোটার তালিকা এবং সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন সিইসি। দলগুলোর নিবন্ধনের যাচাই-বাছাকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি।
নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা:
সিইসি আশা করছেন, জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। কারণ, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে।
নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে।
সিইসি নাসির উদ্দীন জানান, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নির্বাচনের আগে বড় ধরনের পরিবর্তন হতে পারে বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন।